চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বাংলাদেশি গার্মেন্টস কর্মীদের টাকা পাঠাচ্ছেন  ভিনদেশি এক ব্যবসায়ী

অনলাইন ডেস্ক

৩ জুলাই, ২০২০ | ১২:৪২ পূর্বাহ্ণ

করোনার এই মহামারীতে অধিকাংশ বিদেশি কোম্পানির মালিকেরা যখন বাংলাদেশি গার্মেন্টসের অর্ডার বাতিল করছেন, তখন স্কটল্যান্ডের মালজি কোম্পানির কেলি রাসেল অভিনব উদ্যোগে অর্থ সংগ্রহ করে বাংলাদেশে পাঠাচ্ছেন।

সেই জুনের শুরু থেকে ‘দ্য লস্ট স্টক’ নামের একটি ক্যাম্পেইন শুরু করেন স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবরার এই ব্যবসায়ী। অবিক্রীত পোশাক বিশেষ বক্সে করে অনলাইনে বিক্রি করছেন। যে অর্থ আসছে তা দিয়ে বাংলাদেশের শ্রমিকদের খাবারের টাকা জোগাড় করছেন।

দ্য লস্ট স্টক সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন উপায় বের করছে। শুরুতে প্রাপ্ত বয়স্কদের পোশাক বিক্রি করলেও দুদিন আগে তাদের কার্যক্রমে শিশুদের পোশাক যুক্ত করা হয়েছে।

প্রতিটি বক্সের দাম রাখা হচ্ছে ৩৫ পাউন্ড করে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩ হাজার ৭০০ টাকা। বিনিময়ে ক্রেতারা পাচ্ছেন কমপক্ষে তিনটি পোশাক।

লস্ট স্টকের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, একটি বক্সের টাকা দিয়ে বাংলাদেশের একটি পরিবারকে এক সপ্তাহের খাবার দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে এই কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিচ্ছে সাজিদা ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠন।

কেলি রাসেল আশা করছেন জুলাইতে তাদের বিক্রি দ্বিগুণ বাড়বে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইনসাইডারকে তিনি বলেছেন, ‘শিশুদের জন্য লস্ট স্টক ফর কিডস চালু করা দারুণ একটি ব্যাপার। লস্ট স্টক চালুর পর সত্যি বিস্ময়কর সাড়া পাচ্ছি। এই মাসে আগের চেয়ে দ্বিগুণ বক্স বিক্রির আশা করছি। ২০২০ সালের শেষ নাগাদ আমরা শিশুদের ৫০ হাজার বক্স বিক্রি করতে চাই।’

এই ক্যাম্পেইন থেকে ইতিমধ্যে পাঁচ সপ্তাহে ১ লাখ বক্স বিক্রি হয়েছে। সেগুলো ছিল প্রাপ্ত বয়স্কদের পোশাক। রাসেল চলতি মাসে আরও ১ লাখ বাংলাদেশি পরিবারকে সাহায্য করতে চান।

‘আমরা জানি কভিড-১৯ বাংলাদেশি গার্মেন্টস কর্মীদের দুর্দশাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। আমাদের লস্ট স্টকের মাধ্যমে মানুষ যেমন কম দামে পণ্য কিনতে পারছেন, তেমনি অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ পাচ্ছেন।’

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সাজিদা ফাউন্ডেশন এনজিওটি বাংলাদেশের ২৬টি জেলায় কাজ করে।

লস্ট স্টক তাদের কার্যক্রম বাড়াতে বাংলাদেশ থেকেও ন্যায্য দামে পণ্য কিনছে। সেগুলো বিক্রি করে আবার বাংলাদেশি শ্রমিকদেরই টাকা পাঠাচ্ছে! সূত্র: দেশ রূপান্তর

পূর্বকোণ/ এস

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট