চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

আফগানিস্তানে মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের উপর হামলায় নিহত ৭
আফগানিস্তানে মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের উপর হামলায় নিহত ৭

আফগানিস্তানে মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের উপর হামলায় নিহত ৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২০ মে, ২০২০ | ২:০১ অপরাহ্ণ

আফগানিস্তানে পারওয়ান প্রদেশের এক মসজিদে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের হামলায় কমপক্ষে সাত মুসল্লি নিহত এবং ১২ জন আহত হয়েছেন। এর মাত্র একদিন আগে গত সোমবার (১৮ মে) গজনি প্রদেশে গাড়িবোমা হামলায় সাত গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিহত হয়েছিলেন।

গতকাল মঙ্গলবার (১৯ মে) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। আফগানিস্তানের সরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘটনার জন্য তালেবানদের দায়ী করলেও তালেবানরা তা অস্বীকার করেছে।

পারওয়ান প্রদেশের পুলিশ প্রধান হারুন মুবারেজ জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পারওয়ানের রাজধানী চারেকারের এক মসজিদে মাগরিবের সময় রোজাদাররা ইফতার শেষে সবে নামাজে দাঁড়িয়েছিলেন। তখনই অজ্ঞাতনামা বন্দুকধারীরা মসজিদের প্রবেশ করে মুসল্লিদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি করতে শুরু করে। এতে কমপক্ষে সাত মুসল্লি নিহত এবং আরও ১২ জন আহত হয়েছেন।
এ হামলার পিছনে কারা রয়েছে তা নিশ্চিত করে বলা না গেলেও আফগানিস্তানের সরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ হামলার জন্য তালেবানদের দায়ী করছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালের অক্টোবরে আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে এক মসজিদে জুমার নামাজের সময় চালানো বোমা হামলায় কমপক্ষে ৬২ জন নিহত হয়েছিলেন। আফগান সরকার ওই হামলার দায়ও তালেবানদের ওপর চাপিয়েছিল। তবে এক বছর আগে চালানো ওই হামলার দায় এখনও কেউ স্বীকার করেনি।
তালেবানদের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ স্থানীয় সংবাদ সংস্থা ‘খাম্মা প্রেস’-এর কাছে দাবি করেন নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা মসজিদে ঢুকেই নিরীহদের গুলিতে ঝাঁঝরা করেছে। এদিনের ঘটনার সঙ্গে তালেবানদের কোনও সম্পৃক্ততা নেই।
এদিকে আফগানিস্তানে সাম্প্রতিক সময়ে বেসামরিক লোকজনকে লক্ষ্য করে চালানো হামলার বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়েছে জাতিসংঘ।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি তালেবান যোদ্ধাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে আফগানিস্তানে বেসামরিক লোকজনের ওপর হামলার ঘটনা বেড়ে গেছে। দেশটির রাজধানী কাবুলে গত সপ্তাহে মেটার্নিটি বিভাগে চালানো হামলায় নবজাতক ও প্রসূতিসহ কমপক্ষে ২৪ জন নিহত হয়েছিলেন। এছাড়া ওইদিন এক জানাজা নামাজে হামলার ঘটনায় বহু মানুষ হতাহত হয়েছিলেন। সূত্র: আল জাজিরা

পূর্বকোণ/ এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট