চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

করোনায় ভারতে একদিনে রেকর্ড মৃত্যু, আক্রান্ত বেড়ে ৫৭৩৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

৯ এপ্রিল, ২০২০ | ১:১০ অপরাহ্ণ

নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) ভারতে ‍মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬৬ জনে দাঁড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর সংখ্যা ১৭ জন বেড়েছে। বুধবার রাত পর্যন্ত একদিনে রেকর্ড মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে দেশটিতে। তবে এর মধ্যে সুস্থও হয়ে উঠেছেন ৪৭২ জন।

আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়,  ভারতে এত অল্প সময়ে করোনায় এত মৃত্যু এই প্রথম।  নতুন আক্রান্ত হয়েছে ৭৭৩ জন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য দেয়।

করোনা সংক্রমণ সবচেয়ে জোরালো আঘাত হেনেছে মহারাষ্ট্রে। ওই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছিল বুধবারই। এ দিন সেই সংখ্যাটা হয়েছে ১ হাজার ১৩৫ জন। শুধু মাত্র মহারাষ্ট্রেই মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের। এর পরেই রয়েছে গুজরাত। সেখানে মোট ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। পশ্চিমবঙ্গে মৃতের সংখ্যা ৫।

এদিকে আক্রান্তদের একটি নির্দিষ্ট গণ্ডিতে আটকে রাখতে ‘ক্লাস্টার নিয়ন্ত্রণ’ নীতি করেছে মোদি সরকার। সংক্রমণ রোধে রাজ্যগুলোর সঙ্গে একযোগে বিভিন্ন ‘হটস্পটে’ কাজ করছে কেন্দ্রীয় সরকার।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল বলেন, “আগামী কয়েক দিনে আমাদের মূল লক্ষ্য, সংক্রমিতদের সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন, তাদের খুঁজে বার করা। কারণ, একজন আক্রান্ত ব্যক্তিও যদি স্বাস্থ্য সেবার অধীনে না আসেন, তা হলে এত দিনের লড়াই ব্যর্থ হয়ে যাবে।”

আগরওয়াল জানান, পুনে সেন্ট্রাল এলাকা ও মুম্বাইয়ের কোলবা এলাকায় ঘরে-ঘরে গিয়ে সমীক্ষা চালানো হচ্ছে। সমীক্ষা চলছে, দিল্লির নিজামুদ্দিন ও দিলশাদ গার্ডেন এলাকাতেও। এই ‘হটস্পট’ গুলোর ৩৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকার প্রত্যেক বাসিন্দাকে নিয়ে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা হচ্ছে, সেখানে কারও সাম্প্রতিক সফরের বা করোনা-আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার নজির রয়েছে কি না।

রক্তচাপ বা কিডনির সমস্যার মতো ‘ক্রনিক’ রোগ যাদের রয়েছে, তাদের উপরে আলাদা নজর রাখা হচ্ছে। কোয়ারেন্টাইনে এবং আইসোলেশনে থাকাদের উপরে প্রযুক্তির সাহায্যে নজর রাখা ছাড়াও তাদের অবসাদে ভোগা রুখতে মনোবিদদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে গত রাত থেকে উত্তরপ্রদেশের ১৫টি জেলার ১০৪টি ‘হটস্পট’ এবং দিল্লির ২০টি হটস্পট সিল করে দেওয়া হচ্ছে। মূলত পূর্ব দিল্লি এবং তার সংলগ্ন গৌতম বুদ্ধ নগর ও গাজিয়াবাদ ছাড়াও মেরঠ, লখনউ, কানপুর, বরাণসী, শামলি, বুলন্দশহর, ফিরোজাবাদ, সীতাপুরের মতো জেলায় গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ‘হটস্পট’ এলাকায় সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ থাকবে। দোকানের লোক ঘরে জিনিস পৌঁছে দেবে।  অপ্রয়োজনে বাড়ি থেকে বেরোনো রুখতে রাজ্যগুলোকে পুলিশি পাহারা বাড়াতে বলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দিল্লি, জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখে মাস্ক পরাও বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট