চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বা আইবিএস-এর মোকাবিলা

মরিয়ম বেগম

১৭ অক্টোবর, ২০১৯ | ১২:৩২ পূর্বাহ্ণ

বাঙালির আজন্ম ঝাল-ঝোল-অম্বলের খাদ্যাভ্যাসকে দায়ী করা হলেও বাওয়েল মুভমেন্টের সমস্যা কিন্তু শুধু বাঙালির নয়। এমনকি এই রোগ শুধু মাত্র বিশেষ কোনও বয়সের পরেও শুরু হয় না। খুঁজলেই দেখা যাবে যে, আইবিএস বা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের শিকার অনেকেই। পাশাপাশি রয়েছে এটি নিয়ে নানা ভ্রান্ত ধারণাও।

(গত সংখ্যার পর)

বাওয়েল বা খাদ্যনালীর ইরিটেশনকে চিকিৎসকেরা কয়েক ভাগে ভাগ করেছেন। কখনও খুব বেশি র্যাপিড সিগনালিং হয়। অর্থাৎ কোনও সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষ যদি দিনে এক বা দু’বার মলত্যাগ করেন, আইবিএস আক্রান্তকে তখন যেতে হয় দিনে আট-দশ বার, কখনও বা তারও বেশি। ডায়রিয়ার ধরনের কথা মাথায় রেখে একে বলা হয় আইবিএস ডি। আবার কারও যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রবণতা থাকে, তা হলে তিনি সাধারণত তিন-চার দিনে এক বার যান। কনস্টিপেশনের ধারণা থেকে এই রোগকে বলা হয় আইবিএস সি। এমন মানুষও আছেন, যাঁরা মাসের ১৫ দিন আইবিএস সি ও বাকি ১৫ দিন আইবিএস ডি-এর সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যা চিকিৎসকদের ভাষায় মিক্সড ভ্যারাইটি।
লক্ষণ

আইবিএসে সাধারণত পেটে ব্যথা থাকবেই। সারা পেট জুড়ে কামড়ে ধরা ও মোচড় মারা ব্যথাই এর প্রধান লক্ষণ। নাভির নীচ থেকে বাঁ দিক চেপে কুঁকড়ে যাওয়া ব্যথাও এর আওতায় পড়ে। বেগ বাড়লে সিগনালিংয়ের চোটে নার্ভ পর্যন্ত ফেলিয়োর হয়। হাত-পা ঠান্ডাও হয়ে যেতে পারে। আবার মলত্যাগ করলেই ব্যথার নিরসন হলে বুঝতে হবে আইবিএস। তবে বারবার বাথরুমে গেলেও প্রত্যেক বার যে মলের পরিমাণ বেশি হবে, তা কিন্তু নয়। আবার মলের ধরন সাধারণত সান্দ্র্য, ঘোলাটে বা তরল হতে পারে। তবে মলের সঙ্গে রক্ত বেরোয় না এবং শরীরে জ্বরভাবও থাকে না। অন্য দিকে আইবিএস সি-র রোগীদের ক্ষেত্রে গ্যাস, পেটের উপরে চাপ, অস্বস্তি, বারবার ঢেঁকুর তোলার মতো লক্ষণ দেখা যায়।

ডা. তালুকদার বলছেন, ‘‘সাধারণত কমবয়সি অর্থাৎ ৪৫ বছরের নীচে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা আইবিএসে ভোগেন। তবে তার মানে এই নয় যে, ষাটোর্ধ্ব কারও এই সমস্যা হবে না। সে ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই এই সমস্যা ব্যক্তিটির আগে থেকেই ছিল। ষাট পেরোনোর পরে প্রথম বার আইবিএসে ভোগার সমস্যা সাধারণত কম হয়। ষাটোর্ধ্ব কেউ আইবিএসের সমস্যা নিয়ে এলে প্রথমেই অন্য পরীক্ষা করে দেখা হয় তাঁর জ্বর, খাদ্যনালীতে ইনফেকশন, টিউমর বা অন্যান্য সমস্যা আছে কি না।’’
(আগামী সংখ্যায় সমাপ্য)
[সূত্র : ম্যানস হেলথ]

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট