চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

লেলাংয়ে কংকাল উদ্ধার

ফটিকছড়িতে প্রবাসী ইউনুসের লাশ দাফন, মামলা দায়ের

নিজস্ব সংবাদদাতা হ ফটিকছড়ি

৯ মার্চ, ২০২০ | ২:৪৪ পূর্বাহ্ণ

ফটিকছড়িতে গত ১মার্চ নিখোঁজ হওয়া প্রবাসী যুবক মো. ইউনুসের লাশ গতকাল ৮ মার্চ রবিবার বিকেলে ময়না তদন্তের পর জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় নিহতের মা ফিরোজা বেগম বাদি হয়ে শনিবার (৭মার্চ) গভীর রাতে অজ্ঞাতনা আসামি করে ফটিকছড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে ফটিকছড়ি থানার ওসি বাবুল আক্তার এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। ফটিকছড়ি থানার মামলা নং-৮ (তারিখ ৮/০৩/২০ইং)। এদিকে পুলিশ এঘটনায় নিহতের স্ত্রী জনি আক্তার (২৭) ও নিহতের ভাই মো. বাহাদুর (৩২)কে আটক করেছে বলে স্থানীয় নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানাগেছে। তবে ফটিকছড়ি থানার ওসি বাবুল আক্তার তদন্তের স্বার্থে এ ব্যাপারে এখনই মুখ খুলতে রাজি নন। তবে তিনি এটুকু বলেন, বিভিন্ন সন্দিগ্ন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং খুব সহসাই এ ঘটনার রহস্য উম্মোচন হবে বলে ইঙ্গিত দেন। উল্লেখ্য, উপজেলার সুন্দরপুর ইউপির আজিমপুর গ্রামের আবুল বশরের ছেলে প্রবাসী মো.ইউনুস (৩৮) গত ১মার্চ বাড়ি থেকে বিবিরহাট বাজারে যাবার উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে নিখোঁজ হন। এবং গত ৭মার্চ দুপুরে তার বাড়ি থেকে অন্তত ১৫কি.মি. দূরে লেলাং খালের চড়ায় বস্তাবন্দী করে বালি চড়ে পোঁতা অবস্থায়

পুলিশ উদ্ধার করে। এ ঘটনার জন্য নিহতের পারিবারিক একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র দাবি করেছে, নিহত ইউনুস(৩৮) বিদেশে থাকার সুবাদে তার সুন্দরী স্ত্রী জনি আক্তারের সাথে ইউনুসের এক আত্মীয়ের পরকীয়ার সম্পর্ক তৈরি হয়। তারা দুজনের মেলবন্ধনের পথ সুগম করতে ইউনুসকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেবার ব্যবস্থা হিসেবে তারা দুজন মিলেই এ হত্যাকা- করে থাকতে পারে বলে উক্ত সূত্র এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। কিন্ত পুলিশ নিহতের স্ত্রীকে তাদের বাগে আনতে সক্ষম হলেও সেই আলোচিত নিকট আত্মীয় ইতোমধ্যে বিদেশে পালিয়ে গেছে বলে অপর একটি সূত্র এ প্রতিবেদককে জানিয়েছে।
অপরদিকে ফটিকছড়ি থানা পুলিশ গতকাল ৮মার্চ বিকেলে লেলাং ইউপির বন্দে-এ-রাজা মসজিদের অদূরে একটি কবরস্থানের পাশ থেকে অপর এক ব্যক্তির কংকাল উদ্ধার করেছে। লাশের শরীরে কোন মাংসের অস্তিত্ব নেই। শরীরের হাঁড়, মাথার খুলি ইত্যাদি পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। এব্যাপারে ফটিকছড়ি থানার ওসি বাবুল আক্তারের নিকট জানতে চাইলে তিনি লাশটি বছর/দেড়বছর আগের হতে পারে বলে মন্তব্য করেন। তবে লাশের হাঁড়গোরের পাশে পড়ে থাকা একটি কাপড় দেখে এটি কোন মহিলার লাশ হতে পারে বলে তিনি প্রাথমিক ভাবে অনুমান করেন। উদ্ধারকৃত দেহাবশেষ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর এ বিয়য়ে একটা সিদ্ধান্তে আসা যাবে বলে তিনি জানান। তবে এব্যাপারে পুলিশ বাদি হয়ে একটি মামলা রজু করে প্রাথমিক তদন্ত অব্যাহত আছে বলে তিনি জানান।
এদিকে পরপর দুদিনে দুটি লাশ উক্ত এলাকা থেকে উদ্ধারের ঘটনায় জনমনে নানামুখী শংকা দেখা দিয়েছে। সচেতন মহলের প্রশ্ন-কারা এই গুপ্ত ঘাতক? যারা একের পর এক লাশ ফেলে রেখে দিবে। তাদের কি আইনের আওতায় না যাবে না?

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট