চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার রোয়াজারহাট বাজারে দুই সেনা সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় স্থানীয় যুবদলের ১০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে উপপরিদর্শক (এসআই) উত্তম কুমার বলেন, বুধবার বিকেলে রোয়াজারহাট বাজারে অস্ত্র ও গোলাবারুদ থাকার সত্যতা যাচাইয়ে যাওয়া দুই সেনা সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটে।
থানা সুত্র জানায়, গোপন সংবাদে খবর পেয়ে সিভিল পোশাকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ থাকার সত্যতা যাচাইয়ের খোঁজ নিতে যান সেনা বাহিনীর গোয়েন্দা দলের দুই সদস্য। এসময় দুই সেনাসদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন অভিযুক্তরা। পরে রাঙ্গুনিয়ায় কর্মরত সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা গিয়ে অবরুদ্ধ দুই সেনা সদস্যকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় স্থানীয় যুবদলের ১০ নেতা-কর্মীকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ।
এর আগে বুধবার ঘটনার সঙ্গে জড়িত মো. পারভেজ (৩৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর ঘাটচেক এলাকার আবুল কালামের ছেলে এবং স্থানীয় এক যুবদল নেতার ছোট ভাই। সেনা সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গ্রেপ্তার পারভেজ ও তাঁর বড় ভাই রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী মোহাম্মদ জসিমসহ (৪৫) যুবদলের ১০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে পারভেজকে কারাগারে পাঠানো হয়।
রাঙ্গুনিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) উত্তম কুমার বলেন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পের সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা দলের দুই সদস্য গোপন সূত্রে সংবাদ পান, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড রোয়াজারহাট বাজারে মেসার্স গাজী জসিম এন্টারপ্রাইজ নামের দোকানের ভেতরে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ রয়েছে। সংবাদের সত্যতা যাচাই ও তথ্য সংগ্রহের জন্য তাঁরা গতকাল বিকেলে ওই প্রতিষ্ঠানে যান। এ সময় গ্রেপ্তার আসামিসহ অন্যরা তাঁদের কর্তব্যকাজে বাধা দেয়। একপর্যায়ে সেনাসদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে রাঙ্গুনিয়ার অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা খবর পেয়ে তাঁদের উদ্ধার করেন। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে তিনি জানান।
পূর্বকোণ/জিগার/আরআর