চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ইটভাটার মালিককে মারধর করে জোরপূর্বক ইটভাটা দখলে নিয়ে লুটপাটের মামলায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলো- বাঁশখালী থানার পলোগ্রাম এলাকার মো. তৈয়বের ছেলে মোহাম্মদ নোমান (৩৫) ও সাতকানিয়া থানার ছনখোলা গ্রামের আলতাফ হোসেন দফাদারের ছেলে মমতাজ উদ্দিন (৪০)।
মঙ্গলবার (৩০ মে) নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন লালদীঘি পাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, দীর্ঘদিন ধরে আনসারুল হক, মো. কামাল উদ্দিনসহ আরো কয়েকজন বন্ধু যৌথভাবে সাতকানিয়ায় ইটভাটার (শাহ মাজিদিয়া ব্রিকস) ব্যবসা করছিলেন। নোমান ও মমতাজ উদ্দীন নামে কতিপয় দুস্কৃতিকারী প্রায় সময়ই তাদের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করতো। চাঁদা দিতে না চাইলে দুস্কৃতিকারীতার তাদের প্রাণে মেরে ফেলা ও ব্যবসা করতে না দেয়ার হুমকি দিতো। গত ২৩ মে দুপুরে নোমান ও ও মমতাজের নেতৃত্বে দুস্কৃতিকারীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের অফিসে হামলা চালায়। হামলায় ম্যানেজার এবং কর্মচারীরা আহত হয়। আনসারুল ও তার বড় ভাই বাধা দিলে তাদেরও মারধরে করে দুস্কৃতিকারীরা। এসময় আনসারুলের পকেট থেকে ১ লাখ টাকা এবং অফিসের ক্যাশ বাক্স ভেঙে ৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। এতেও ক্ষান্ত হয়নি তারা। এরপর ওই ইটভাটা থেকে ২ লাখ ১০ হাজার ইট নিয়ে যায় এবং দশ থেকে বার হাজার ইট ভাঙচুর করে। এছাড়া ভাঙচুর করে ইটভাটায় ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক মোটর, পানির পাম্প, পানির ড্রাম ইত্যাদি।
র্যাব আরও জানায়, গত ২৭ মে এ ঘটনায় ইটভাটা আরেক মালিক কামাল উদ্দিনের স্ত্রী মোর্তোজা বেগম নগরীর ওয়েল পার্ক হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। পরে ২৯ মে আনসারুল হকের স্ত্রী বাদী হয়ে সাতকানিয়া থানায় ২১ জন নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০০/১২০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার। তিনি বলেন, এ ঘটনায় আসামিদের ধরতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। এক পর্যায়ে গতকাল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর লালদিঘির পাড় এলাকা থেকে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ