চট্টগ্রামের ভুজপুরে শিশু হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. নাসির ওরফে নাসিমকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তার নাসিম উপজেলার পূর্ব ভুজপুর এলাকার নুরু আহমদের ছেলে।
রবিবার (২৮ মে) লোহাগাড়ার চুনতি রেঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার।
তিনি বলেন, ২০১০ সালের জানুয়ারিতে ভুজপুরে শাহ পরান এবং দেলোয়ারা বেগম পারিবারিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর থেকে শাহ পরান তাদের সংসারের অভাব অনটন এবং পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। নির্যাতন সইতে না পেরে স্বামীকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসে স্ত্রী। শাহ পরানের ভগ্নিপতি নাসির ওরফে নাসিম তাদের বিয়ের ঘটক ছিলেন। তালাকের ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে শাহ পরান এবং তার ভগ্নিপতি প্রায়ই তার স্ত্রীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিত।
এক পর্যায়ে ওই বছরের ১ এপ্রিল ভোররাত ৪টায় শাহ পরান ও তার ভগ্নিপতি দেলোয়ারা বেগমের ঘরে ঢুকে। এসময় শাহপরান তার স্ত্রীকে বুকের ডান পাশে ছুরিকাঘাত করে। তার চিৎকারে তার বোন ও মা জেগে উঠে আসামিদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে শাহপরান তার ছোট বোন ফারহানার পেটে ছুরিকাঘাত করে। ঘটনাস্থলের তার মৃত্যু হয়। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা আসার আগেই আসামিরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত দেলোয়ারা বেগমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে ভুজপুর থানায় দুই জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামিরা দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় আদালত তাদের অনুপস্থিতে ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল শাহ পরানকে মৃত্যুদণ্ড এবং নাসিরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বলেন, এ মামলা সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি লোহাগাড়া থানার চুনতি রেঞ্জ এলাকায় অবস্থান করছে; এমন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রবিবার অভিযান চালিয়ে নাসিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিগত ১৩ বছর পার্বত্য জেলায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ও হোটেলে রান্নার কাজ করতো। গ্রেপ্তার আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
পূর্বকোণ/পিআর/এসি