চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪

তাপমাত্রা বাড়লেও শৈত্যপ্রবাহের দাপট কমেনি পঞ্চগড়ে

অনলাইন ডেস্ক

১৭ জানুয়ারি, ২০২৩ | ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ

টানা চলছে শৈত্যপ্রবাহ। এতে শীতে নাকাল হয়ে পড়েছে সীমান্তবর্তী উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের মানুষ। সামান্য তাপমাত্রা বাড়লেও অব্যাহত রয়েছে শৈত্যপ্রবাহের শীতের দাপট। সকাল থেকে ঘন কুয়াশা না থাকলেও হিমেল হাওয়ায় বাড়ছে শীতের তীব্রতা।

 

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানিয়েছেন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

 

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সোমবার রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা বাড়লেও উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীত অনুভূত হচ্ছে ।

 

বিভিন্নস্থান ঘুরে দেখা যায়, হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ায় অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হওয়া শ্রমজীবী-কর্মজীবী অসহায় মানুষ। চা শ্রমিক, পাথর শ্রমিক, ভ্যান চালক, দিনমজুর থেকে শুরু করে ছোটখাটো যানবাহনের চালকরাও পড়েছেন বিপাকে।

 

জীবিকার তাগিদে তারা কেউ নদীতে পাথর তুলতে, কেউ চা-বাগানে, কেউ পাথর ভাঙার কাজে, আবার কাউকে গেরস্থের বাড়িতে দিন হাজিরার কাজে যেতে দেখা গেছে। শীতের কারণে তাদের আয়-রোজগার কমে গেছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে তাদের এই স্বল্প উপার্জনে চলছে না সংসার।

 

শীতের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখাও। শিক্ষার্থীরা জানায়, শীতের কারণে তাদের পড়ালেখা করতে কষ্ট হচ্ছে। পড়ার টেবিলে বসলে শীতে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসে। স্কুল-কলেজে যেতেও কষ্ট হচ্ছে।

 

শীত প্রকোপে বেড়েছে নানান শীতজনিত রোগ। ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট দেখা যাচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। জেলা সদর ও উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।

 

চিকিৎসকরা বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।

 

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, জেলায় গতকালের তুলনায় সামান্য তাপমাত্রা বেড়েছে। সোমবার সকাল ৯টায় রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ৬ জানুয়ারি থেকে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। জেলার ওপর দিয়ে এখন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

 

পূর্বকোণ/আরএ

 

শেয়ার করুন