নাট্যকলা, চিত্রকলা, সংগীত, নাচ, ছায়াচিত্র ও সং এর সমন্বিত ব্যবহারের মাধ্যমে মনোবিশ্লেষক অভিব্যক্তিধর্মী প্রয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ‘এক্সপ্রেসিভ সাইকোথেরাপি’ এর অধিবেশন পরিচালিত হয়ে থাকে। এ কোর্সের পাঠ্যক্রমে তাই সাইকোথেরাপির এক্সপ্রেসিভ প্রয়োগ দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাইকোড্রামা, সোসিওড্রামা, লিভিং নিউজ পেপার থিয়েটার, প্লেবেক থিয়েটার, আর্ট থেরাপি, মিউজিক থেরাপি, ডান্স থেরাপি, পয়েট্রি থেরপি, স্যাডো থেরাপি, প্লে থেরাপি এর হাতে-কলমে পাঠ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ত্রৈমাসিক এই সার্টিফিকেট কোর্স সম্পন্নকারীগণ ব্যক্তিগত মনোস্বাস্থ্য বিপর্যয় মোকাবেলার সক্ষমতা অর্জনের পাশপাশি এক্সপ্রেসিভ সাইকোথেরাপি সেশন পরিচালনায় সক্ষম হবেন।
যেই সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্থ ব্যক্তিদের মনোস্বাস্থ্য পরিচার্যায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবেন। অর্থাৎ একজন এক্সপ্রেসিভ সাইকোথেরাপিস্ট হিসেবে পেশাদারিভাবে মনোস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভূমিকা রাখতে সমর্থ হবেন।
বাংলাদেশে মনোস্বাস্থ্য সেবা খাতে দক্ষ জনবলের ঘাটতি রয়েছে। এই কোর্স সম্পন্নকারী এক্সপ্রেসিভ সাইকোথেরাপিস্টরা সেই ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।
বিগত এক শতাব্দী সময়কালে বিকল্প পদ্ধতিতে বিশ্বব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্যসেবার যে সকল পদ্ধতি বা প্রক্রিয়ার আবির্ভাব হয়েছে; তাদের মধ্যে অন্যতম হলো- আর্ট থেরাপি, মিউজিক থেরাপি, থিয়েটার থেরাপি, ডান্স থেরাপি, ক্লাউন থেরাপি, কালার থেরাপি, প্লে থেরাপি, মাইম থেরাপি, পয়েট্রি থেরাপি, ফটোগ্রাফিক থেরাপিসহ প্রভৃতি সৃজনশীল প্রতিবিধানমূলক কলাবিদ্যা।
বর্তমান সময়ে উল্লেখিত অভিব্যাক্তিমূলক সৃজনশীল মনোবিশ্লেষক কলাবিদ্যাসমূহের সু-সমন্বিত প্রয়োগ বিজ্ঞানকে দেওয়া হয়েছে ‘এক্সপ্রেসিভ সাইকোথেরাপি’ শিরোনামের অভিধা।
মূলত: প্রথাগত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা শৈলির পাশাপাশি এই সর্বাধুনিক ও কার্যকররি এবং স্বল্প সময়ে অধিক ভুক্তভোগী মনোসমস্যাগ্রস্থদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিজ্ঞান প্রয়োগ হচ্ছে সফলভাবে।
কারণ প্রচলিত পদ্ধতিগুলো ছিলো ব্যক্তি কেন্দ্রিক সেবা প্রধান। অপরদিকে ‘এক্সপ্রেসিভ সাইকোথেরাপি’ হচ্ছে দলীয় সেবা প্রক্রিয়া।
ফলশ্রুতিতে ‘এক্সপ্রেসিভ সাইকোথেরাপি’ আর্থিক দিক থেকে সাশ্রয়ী এবং অংশগ্রহণমূলক প্রয়োগ বিজ্ঞান হিসেবে পৃথিবীর দেশে দেশে জসপ্রিয় হয়ে ওঠেছে এবং এই ধারার সাইকোথেরাপি এর বিদ্যায়নতীক পাঠ পেয়েছে ব্যাপকতা।
‘এক্সপ্রেসিভ সাইকোথেরাপি’ একটি আমব্রেলা টার্ম।
ছাতার যেমন অনেকগুলো সিক তথা সলাকা থাকে, তেমনি আলোচ্য এক্সপ্রেসিভ সাইকোথেরাপিরও রয়েছে অনেকগুলো সুক্ত। যে সুক্ত তথা উপকরণ বা কৌশলগুলোর সম্বন্বিত নামাঙ্কন হলো ‘এক্সপ্রেসিভ সাইকোথেরাপি’।
যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সলাকাগুলো বা কৌশলসমুহ হলো- সাইকোড্রামা, সোসিওড্রামা, প্লেবেক থিয়েটার, ড্রামা থেরাপি, ডান্স থেরাপি, মুভমেন্ট থেরাপি, ব্রিদিং থেরাপি, মিউজিক থেরাপি, আর্ট থেরাপি, পয়েট্রি থেরাপি, মাইম থেরাপি, প্লে থেরাপি, গেইম থেরাপি, সেডো থেরাপি, ক্লাউন থেরাপি, কালার থেরাপি ইত্যাদি।
অর্থাৎ উল্লেখিত সৃজনশীল মনোবিশ্লেষক কলাবিদ্যাগুলোর সমন্বিত রূপকে ‘এক্সপ্রেসিভ সাইকোথেরাপি’ হিসেবে গবেষক ও বিশ্লেষকগণ শিরোনামবদ্ধ করেছেন।
যা উচ্চতর বিদ্যায়তনিক পাঠ্যক্রম হিসেবে বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফলিত মনোবিজ্ঞান হিসাবে পঠিত হয়ে থাকে।
ওষুধী চিকিৎসার পাশাপাশি ওষুদবিহীন চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে মনোচিকিৎসার ক্ষেত্রে এই অভিব্যক্তিধর্মী সৃজনশীল কলাবিদ্যা প্রচলিত কাউন্সেলিং ও সাইকোথেরাপির ইতিহাসে নবতর সংযোজন এবং ব্যাপক হারে চর্চিত চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান।
বাংলাদেশের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা খাতের সামগ্রিক চিত্র পর্যালোচনা সাপেক্ষে স্বল্প ব্যয়ে অধিক মানুষের জন্য মনোচিকিৎসা নিশ্চিত করতে এক্সপ্রেসিভ সাইকোথেরাপি’র অনুশীলন সময়ের দাবি।
করোনার কারণে সৃষ্ট মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা উত্তরণে এক্সপ্রেসিভ সাইকোথেরাপি সেশন একটি সৃজনশীল নিরাময়কলা হিসাবে ব্যবহারের ক্ষেত্র প্রস্তুতে উক্ত কোর্স সম্পন্নকারীরা যেমনি অবদান রাখতে পারবেন; তেমনি ব্যাক্তিগত মনোস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সক্ষমতা অর্জন করবেন।
কোর্সের শিক্ষার্থী হতে আগ্রহীগণ ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাইলে বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযেগ করুন।
কোর্স সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক তথ্য নিম্নরূপ:
১। পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি
২। NID এর ফটোকপি
৩। সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার সাটিফিকেট এর ফটোকপি
৪। চাকরিরত হলে চাকরি দাতা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত ID বা জব সাটিফিকেট এর ফটোকপি
৫। ভর্তি ফি বাবদ জমাকৃত অর্থের জমা রশিদের একটি ফটোকপি জমা দেবেন
প্রাসঙ্গিক তথ্যের জন্য ব্যবহার করুন-
০১৭৪৬১২৬৫৭৭/০১৮১৯৫১৪৫৬৪
পূর্বকোণ/এএইচ