চট্টগ্রাম শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪

আসুন, ‌‘ভাল তেলে’ ফিরি

৬ মে, ২০২২ | ৬:৫৬ অপরাহ্ণ

আমাদের ছোটবেলায় রান্নায় সয়াবিন তেলের ব্যবহার ছিল না। খাওয়া হত সরিষার তেল, যাকে ডাকা হত ‘ভালো তেল বা ভালা তেল’ নামে। গলায় সুতলিবাঁধা শিশি, বোতলে করে, খুব অল্প পরিমাণ তেল কিনত ভোক্তারা।

২. গ্রামে সপ্তাহে দু’দিন হাট মিলত। মাসে আটটি হাটবার। একটি পরিবারের প্রয়োজন বা স্টান্ডার্ড বিবেচনায় ভালো তেল কেনা হত সর্বোচ্চ এক পোয়া পর্যন্ত। কেউ কেউ এক ছটাকও কিনত। একসের ভালো তেল কাউকে কিনতে দেখিনি। সস্তা দামের পাম বা সয়াবিনে হত পিঠা বানানো বা ভাজা-পোড়া। শিশিতে কেনা ভালো তেলে রান্নার কাজটি দিব্যি চলে গেছে। তখন মাখা তেলে রান্না হত। স্বাদে ঘ্রাণে কমতি ছিল না।

৩. দেশে উৎপাদিত সরিষার তেলে বেশ চলছিল। কিন্তু বেনিয়া ও দেশের কর্পোরেট কারবারিরা ব্যাপক প্রচার চালিয়ে বিদেশি সয়াবিন তেলকে তুমুল জনপ্রিয় করেছে। আমাদের দেশে একদানা সয়াবিন উৎপাদিত হয় না। ভোগের পুরোটাই আমদানি নির্ভর। এতে রমরমা ব্যবসা হচ্ছে, বিপুল অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে।

৪. দেশে কন্টেনারভর্তি তেল কেনা শুরু হয়েছে এই তো সেদিন। গবেষণায় তেলের উপকারিতার প্রমাণ খুব একটা মেলেনি। তবে ক্ষতির কথা বহুল কথিত। সম্ভব হলে মানসিকতার বদল ঘটান। কন্টেনার বাদ দিয়ে শিশিতে ফিরে যান। সয়াবিন নয়, সেই আগের ভালো তেল। তাহলে দেশে সরিষার আবাদও বেড়ে যাবে। তেল খাওয়া কমান, শরীর ভালো থাকবে। দেশের অনেক বৈদেশিক মুদ্রা বেঁচে যাবে।

সাংবাদিক হাসান নাসিরের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।

পূর্বকোণ/মামুন

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট