লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে তামিম ও নাইমের ব্যাটে শুরুটা ভাল করেছিল বাংলাদেশ। পিচ রির্পোট অনুযায়ী ম্যাচ চলছিল ভালোই। কিন্তু হঠাৎ করেই রানের গতি মন্থর হওয়ায় বোঝা গেল রিপোর্ট আর ফলাফল পার্থক্য। অবশেষে ২০ ওভারে ১৪১ রানের করে প্রথম ইনিংস শেষ করে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ দলের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ নাঈম শুরুতে ৭১ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু তাদের ওই জুটি দৃষ্টি নন্দন ছিল না। দু্ই ওপেনার ১১ ওভার খেলে করেন ওই রান। দেশসেরা ওপেনার তামিম বিপিএল স্টাইলে ব্যাটিং করে ৩৪ বলে ৩৯ রান করেন।
স্লো-গতিতে রান ওঠায় ব্যাটিংঅর্ডারে পরিবর্তন এনে লিটন দাসকে ওয়ানডাউনে নামানো হয়। তাকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন নাঈম। তবে সতীর্থকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি লিটন। রানের চাকা দ্রুতগতিতে ঘোরাতে পারেননি তিনি। খানিক পরই রানআউটে ফিনিশি হন উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান।
১৫তম ওভারে পরপর দুটি উইকেট হারিয়ে লাইনচ্যুত হয় বাংলাদেশ। শাদাব খান তার শেষ ওভারের তৃতীয় বলে রান আউট করেন লিটন দাসকে, পরের বলে ফেরান নাঈমকে। ফ্লিক করেছিলেন নাঈম, লংঅফে ছুটছিল বল। নিজেই দৌড়ে গিয়ে বল হাতে নেন শাদাব এবং সরাসরি থ্রোয়ে নন স্ট্রাইকের স্টাম্প ভাঙেন। ১৩ বলে ২ চারে ১২ রানে রান আউট হন লিটন।
পরের বলে লংঅনে ইফতিখার আহমেদের ক্যাচ হন নাঈম। তাতে ৪১ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৪৩ রানে থামেন বাংলাদেশি ওপেনার।
পাকিস্তানের পক্ষে একটি করে উইকেট নেন শাদাব, রউফ ও শাহীন।
বাংলাদেশ দল:
মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ নাঈম, আফিফ হোসেন, লিটন দাস (উইকেটকিপার), সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, আমিনুল ইসলাম, শফিউল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, আল-আমিন হোসেন।
পাকিস্তান দল: বাবর আজম (অধিনায়ক), আহসান আলী, মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক, ইফতিখার আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটকিপার), শাদাব খান, হারিস রউফ, শাহীন আফ্রিদি, মোহাম্মদ হাসনাইন।
পূর্বকোণ/পিআর