মাত্র ৪ রান করে ইশান্ত শর্মার বলে এলবিডব্লুর শিকার হয়ে ইডেনেও হতাশ করলেন ইমরুল কায়েস। ওই ওভারের প্রথম বলে রিভিউ নিয়ে বেঁচেও যান তিনি। এলবিডব্লুর সিদ্ধান্তে রিভিউ নিলেও ভুল প্রমাণিত হন বাংলাদেশের এ ওপেনার। অবশেষে ৪ রান করে ফিরে গেছেন প্যাভিলিয়নে। ইমরুলকে দিয়ে শুরু হওয়া বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের প্যাভিলিয়নে যাওয়ার মিছিলটা যেন কাল থামেনি। নৈশভোজের বিরতি থেকে ফেরার খানিক পর বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ১০৬ রানে।

ইমরুলের আউটের পর মুমিনুল হক সাদমানের সঙ্গে জুটি বাঁধলেও তা বেশিক্ষণ টেকেনি। ৭ বল খেলা মুমিনুল রানের খাতা খোলার আগেই শিকার হন যাদবের। স্লিপে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন রোহিত শর্মা। যাদবের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে মাত্র ২ বল টিকতে পেরেছেন মোহাম্মদ মিঠুন। পরের ওভারে বিপর্যয় আরও বেড়েছে বাংলাদেশের। মাত্র ৪ বল খেলে মোহাম্মদ শামির বলে বোল্ড হন মুশফিক। নৈশভোজের আগে ৬ উইকেটে বাংলাদেশ তুলেছে রান মাত্র ৭৩। নৈশভোজ থেকে ফিরে আর ৩৩ রান তুলতেই বাংলাদেশ অলআউট।

মিডল অর্ডারে থাকা বাংলাদেশের তিন ব্যাটসম্যান মুমিনুল, মিঠুন ও মুশফিক ১১ বলের মধ্যে  কোনো রান করতে পারেননি। আউট হওয়া চার ব্যাটসম্যানের স্কোর যথাক্রমে ৪,০,০,০। সাদমানই যা একটু লড়াই করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু ৫২ বল খেলা সাদমানকে (২৯) তুলে নেন উমেশ। তাঁকে উইকেটরক্ষকের ক্যাচে পরিণত করেন এ পেসার। মাহমুদউল্লাকে তুলে নেন ইশান্ত। এরপর শামির বলে মাথায় আঘাত পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে লিটন ফিরলে বদলি খেলোয়াড় নামানোর সুযোগ থাকলেও তা বাংলাদেশ কাজে লাগাতে পারেনি। কারণ স্কোয়াডে আর কোনো বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান নেই।

কলকাতার বিখ্যাত ইডেন গার্ডেনসে ঐতিহাসিক টেস্ট খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ-ভারত। প্রথমবারের মতো নিজেদের ইতিহাসে দিবারাত্রির টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে দল দু’টি।

পূর্বকোণ/রাশেদ