নিজের ছেলেকে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি থেকে বাঁচাতে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি লিওনেল মেসির কাছে চিঠি পাঠিয়েছে তার বাবা। সৌদি আরব সরকারের বিপক্ষে ‘অপরাধ’ করার অভিযোগে ২০১৭ সালে মোহাম্মদ আল ফারাজকে (২০) গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এখনও রায় না হলেও ওই যুবকের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছে মামলার বাদি।

আর্জেন্টিনা ও বার্সেলোনার হয়ে দলের বিপদে কতবার যে ত্রাতা হয়ে দাঁড়িয়েছেন মেসি, তার কোনো ইয়ত্তা নেই। এবার আরেক সৌদি পরিবারের বিপদে তার নিকট ত্রাতা হওয়ার আকুতি এসেছে। সেই পরিবারের আকুতি— সাত বারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ী যেন সেই মামলায় নিজের প্রভাব খাটিয়ে হস্তক্ষেপ করেন।

আর্জেন্টাইন এই মহাতারকার রাষ্ট্রীয় সম্পৃক্ততা আছে সৌদি আরবের সঙ্গে। এই তো কিছু দিন আগে দেশটির পর্যটনের শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন তিনি। তাকে এই চিঠি পাঠানোর পেছনে সেটাই সবচেয়ে বড় কারণ।

চিঠিতে ফারাজের পরিবার জানায়, তাদের ছেলের ওপর নির্যাতন করেই স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। ফারাজকে গ্রেপ্তারের সময় সে বন্ধুদের সঙ্গে বোলিং খেলছিল। কিশোর হওয়া স্বত্ত্বেও তাকে প্রাপ্তবয়স্কদের কারাগারে নেওয়া হয়, জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি করে তাকে নির্যাতনও করা হয়।

সেই চিঠিতে ফারাজের ওপর নির্যাতনের চিত্রও কথায় তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কারাগারের রক্ষীরা তাকে পিটিয়েছে, লাথি মেরেছে। মাঝে হাতের ওপর শিকল বেঁধে কয়েক ঘণ্টা রাখা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে আর কোনো উপায় না দেখে মেসির কাছে চিঠি দিয়েছে সেই পরিবার।

তার বিরুদ্ধে যে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটি আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আদালত যদিও এখনো মামলার রায় দেননি, তবে মামলার বাদী সম্ভাব্য সর্বোচ্চ শাস্তিই দাবি করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই চিঠিতে।

ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি সরকারের বিপক্ষে ‘অপরাধ’ করার অভিযোগে মোহাম্মদ আল ফারাজ নামের ওই তরুণকে ২০১৭ সালে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই সময় তার বয়স ছিল কেবল ১৫ বছর। এরপরই সেই ছেলের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন করা হয়েছে।

পূর্বকোণ/এএস