পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে এসেছে নিউজিল্যান্ড দল। আজ মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে কিউইরা। গতকাল অকল্যান্ড থেকে রওনা দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। তাদের বাংলাদেশে আসার খবরটি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
এর আগে অস্ট্রেলিয়া এসে বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকেই হোটেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। তবে নিউজিল্যান্ডের তেমন চাওয়া ছিল না। সাধারণ নিয়মে ইমিগ্রেশন শেষেই হোটেলে গেছেন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটাররা। জৈব সুরক্ষা বলয়ের নিয়ম অনুযায়ী তিন দিন কোয়ারেন্টিনে থাকবেন তারা।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি আগামী ১ সেপ্টেম্বর। পরের চারটি ম্যাচ ৩, ৫, ৮ ও ১০ সেপ্টেম্বর। প্রতিটি ম্যাচই হবে ফ্লাডলাইটের আলোর নিচে। বিকেল ৪টায় শুরু হওয়া সবকটি ম্যাচ হবে মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে।
১৫ সদস্যের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের সঙ্গে সাপোর্ট স্টাফ মিলিয়ে সফরকারীদের সদস্য সংখ্যা ২৬ জন। এর মধ্যে ৫ জন আগেই বাংলাদেশে এসেছেন। নিউজিল্যান্ড থেকে পর্যবেক্ষক দলের দুজন সদস্য ১৭ আগস্ট এবং একজন ১৯ আগস্ট আসেন। ইংল্যান্ডে দ্য হান্ড্রেড খেলে সেখান থেকে ২০ আগস্ট সরাসরি বাংলাদেশে আসেন দুই ক্রিকেটার কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম এবং ফিন অ্যালেন।
২০১৩ সালের পর এই প্রথম দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে এল নিউজিল্যান্ড। এ সময়ের মাঝে তিন দফা নিউজিল্যান্ড সফরে গেছে বাংলাদেশ। এ বছরের শুরুতেই সীমিত ওভারের সিরিজ খেলে এসেছে বাংলাদেশ।
গত বছর এমন সময়েই আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অধীনে দুটি ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ আসার কথা ছিল নিউজিল্যান্ডের। তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে স্থগিত হয়ে যায় সে সফর। শেষ পর্যন্ত সে সিরিজ আর হয়নি।
এ সফরে শুরুতে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল নিউজিল্যান্ডের। ২৯ আগস্ট বিকেএসপিতে সে ম্যাচ হওয়ার কথা থাকলেও নিউজিল্যান্ড শেষ পর্যন্ত বিসিবির এ প্রস্তাব নাকচ করেছে। ঢাকার জৈব সুরক্ষা বলয়ের বাইরে যেতে চায় না তারা। এদিকে বাংলাদেশ দলের সব সদস্য আজ জৈব সুরক্ষা বলয়ে ঢুকে পড়বেন।
পূর্বকোণ/পিআর