অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৫ ম্যাচ সিরিজের ৪র্থ টি টোয়েন্টিতে টস জিতে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ ৯ উইকেটে ১০৪ রান করেছে। বাটিং ব্যর্থতার দিনে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোরার নাইম শেখ, তিনি ২৮ রান করেন। এছাড়া মাহাদী হাসান ২৩, আফিফ হোসেন ধ্রুব ২০ এবং সাকিব ১৫ রান করেন। এরইমধ্যে সিরিজ জিতে নেয়া বাংলাদেশ প্রতিপক্ষকে চুনকাম করতে হলে ১০৪-এর আগেই থামাতে হবে। অজিরা চলতি সিরিজে ভালো করছে না, অন্তত ব্যাটিংয়ে। দেখা যাক ১০৪ রানের স্বল্প পুঁজিও টাইগার বোলাররা ডিপেন্ড করতে পারে কি না।
প্রথম ম্যাচে ২, দ্বিতীয়টিতে ০, তৃতীয় ম্যাচে আবার ২-এই ধারাবাহিক ব্যর্থতার পর শনিবারের (৭ আগস্ট) ম্যাচে সৌম্য সরকারকে বিশ্রাম দেওয়া নেওয়া জোর আলোচনা হয়েছিল।
কিন্তু চলতি সফরের আগের পরফরম্যান্স এবং সিরিজ জয়ের কাজটি হয়ে যাওয়ায় সৌম্য আরেকটি সুযোগ পান। খেলেন আগের তিনটি ম্যাচের তুলনায় ভালো! ক্রিজে ছিলেন ১০ বল, তাতে একটি ছয়ের মার দিয়েও মোট রান ৮। অর্থাৎ চার ইনিংসে ৩২ বলে সৌম্যের ব্যাট থেকে বাংলাদেশ পায় মাত্র ১২ রান।
শুরুটা যদি এমন হয় শেষটা ভালো হওয়ার জন্য অন্য কাউকে বিশেষ কিছু একটা করতে হতো। কিন্তু সাকিব আল হাসান, আগের ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, নুরুল হাসানর কেউই মিডল অর্ডারে হাল ধরতে পারেননি। অজিরাও পরিস্থিতি বুঝে স্পিনার দিয়েই একের পর এক আক্রমন শানায়। তাতে রানের জন্য হাপিত্তেশ করেছে টাইগার ব্যাটাররা।
শুরুতেই সৌম্য ফিরে যাওয়ার পর সাকিব নেমেই মেরে খেলার চেষ্টা করেন। তবে এই চেষ্টা তার সফল হয়নি। উল্টো ২৬ বলে ১৫ রান করে হ্যাজেলউডের শিকার হন। সৌম্যকেও আউট করেন এই বোলার। ১১তম ওভারে সুইপসনের শেষ দু’বলে লেগ বিফোরে আউট হন মাহমুদউল্লাহ ও নুরুল হাসান।
বাংলাদেশ দলের ভালো একটি সংগ্রহের চেষ্টা শেষ হয়ে যায় সেখানেই তবে আফিফ হোসেন ধ্রুব চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু এগারের বলে তার ২০ রানের ইনিংসটি যখন থামে বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ১৫.৪ ওভারে ৬ উইকেটে ৭৮ রান। এই সময় সংশয় জেগেছিল টাইগারদের স্কোরবোর্ড দলগত শতকের দেখা পায় কিনা। কারণ ১৯তম ওভার শেষেও বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৭ উইকেট ৯০ রান।
ওপেনার নাইম শেখের ২৮সহ ইনিংসে চার টাইগার ব্যাটার দুই অংকের রান করেন। তবে মাহাদী হাসান শেষ ওভারে এন্ড্রু টাইয়ের বলে মেরে খেলে দলকে শতক পার করান। আউট হওয়ার আগে ১৬ বলে ১ চার ১ ছয়ে ২৩ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ থামে ৯ উইকেটে ১০৪ রানে। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে এন্ড্রু টাই ও মিচেল সুইপসন ৩টি করে এবং হ্যাজেলউড নেন জোড়া উইকেট। এগার ১ উইকেট পান।
পূর্বকোণ/কিরণ/মামুন