চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

জিয়াউল হক মাইজভা-ারী ট্রাস্ট’র দাতব্য চিকিৎসা

নাক ফোঁড়া, কর্ণ ছেদনসহ সবপ্রকার সেবা প্রত্যন্তের রোগীদের

আবদুল হালিম মাসুদ হ ফটিকছড়ি

১০ নভেম্বর, ২০১৯ | ২:১০ পূর্বাহ্ণ

গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় রোগীদের একমাত্র ভরসা শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভা-ারী (ক.) ট্রাস্ট পরিচালিত দাতব্য চিকিৎসালয়। ‘সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্প’র আওতায় চট্টগ্রাম শহর ছাড়াও গ্রামাঞ্চলে ৭টি স্থায়ী দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করেছে। এরমধ্যে ফটিকছড়িতে তিনটি, রাঙ্গুনিয়ায় একটি ও নগরীতে তিনটি চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এসব চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে অভিজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা বিনামূল্যে ওষুধসহ চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। গত কয়েকবছর ধরে প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা পেয়েছেন।

সরেজমিনে জানা যায়, ফটিকছড়ির মাইজভা-ার দরবার শরীফ সংলগ্ন হোসাইনী দাতব্য চিকিৎসালয় ও খতনা সেন্টারে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. জিয়াউল হাসান ও ডা. ফাতেমা ইসলাম চিকিৎসা সেবা দেন। এখানে চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের কিশোরদের খতনা ও কিশোরীদের নাক ফোঁড়ানো ও কর্ণ ছেদন করানো হয়। সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ২ জন চিকিৎসক নিয়মিত এই সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলার আজিমপুরে প্রতিষ্ঠিত শাহানশাহ হক ভা-ারী দাতব্য চিকিৎসালয়ে সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টা থেকে সেবা দেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মিজানুর রহমান। ফটিকছড়ির কাঞ্চন নগরে সৈয়দ আবদুল গণি কাঞ্চনপুরী (র.) দাতব্য চিকিৎসালয়ে প্রতি শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে সেবা দেন ডা. রোবায়েত হাসান।

এছাড়াও রাঙ্গুনিয়ায় সৈয়দ ছালেকুর রহমান শাহ্ (র.) দাতব্য চিকিৎসালয় কেন্দ্রে সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে সেবা দেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মোহাম্মদ তারেক-উল-কাদের। এই কেন্দ্রটি রাঙ্গুনিয়ার প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় প্রচুর রোগীর ভিড় হয়।

এসব চিকিৎসাকেন্দ্রে বিনামূল্যে রোগীরা যেসব সেবা পেয়ে থাকেন তাহলো- এখানে মানসম্মত ওষুধ দেয়া হয়, দরিদ্র পরিবারের কিশোরদের খতনা ও কিশোরীদের নাক ফোঁড়ানো ও কর্ণছেদন করা হয়, পঙ্গু রোগীদের কৃত্রিম পা লাগানো হয়, শারীরিক প্রতিবন্ধীদের হুইল চেয়ার প্রদান করা হয় এবং চিকিৎসা সেবা ব্যয়ে অক্ষম রোগীদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়।
কেন্দ্রের চিকিৎসকেরা জানান, তারা এসব কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। কারণ সময় নিয়ে রোগীদের ভালভাবে সেবা দিতে পারেন।
দাতব্য চিকিৎসাকেন্দ্রে আসা সাধারণ রোগীরা জানান, তারাও এসব কেন্দ্রে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা পেয়ে সন্তুষ্ট। ভাল চিকিৎসার কারণে রোগীরা আশেপাশের সাধারণ জনসাধারণ ও পরিবারের স্বজনদের এই কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

ট্রাস্টের দারিদ্র বিমোচন প্রকল্প পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হালিম আল মাসুদ বলেন, শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভা-ারী ট্রাস্ট পরিচালিত দারিদ্র বিমোচন প্রকল্প (যাকাত তহবিল) থেকে এসব কেন্দ্রের প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান দেয়া হয়। দারিদ্র বিমোচন প্রকল্প পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি দিদারুল আলম চৌধুরী বলেন, চিকিৎসা সেবার পাশপাশি দরিদ্র পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে আমরা বিভিন্ন খাতে আর্থিক ও প্রয়োজনীয় উপকরণ দিয়ে সহায়তা করে থাকি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট