চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪

দূষণের মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে পলিথিন

মো. দেলোয়ার হোসেন হ চন্দনাইশ

৩ নভেম্বর, ২০১৯ | ২:০৭ পূর্বাহ্ণ

প্ল­াস্টিক পদার্থের নিয়মিত ব্যবহার দূষণের মাত্রাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে পলিথিন। অপচনশীল এ পদার্থ পরিবেশে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করছে। মাটি, পানি দূষিত হয়ে যাচ্ছে। এতে খাল-বিল, নদী-নালা থেকে শুরু করে মহাসমুদ্র পর্যন্ত প্লাস্টিক পদার্থ ও প্লাস্টিক কণা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। উন্নত বিশ্বের প্রসিদ্ধ কোম্পানির বোতলজাত পানিতেও বিষাক্ত প্লাস্টিক কণার উপস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্যের কারণে বিশ্বের সকল স্তরের জীববৈচিত্র্য আজ মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন। অণুজীব থেকে শুরু করে তিমি মাছ পর্যন্ত মারাত্মক হুমকিতে। খাদ্যশৃঙ্খলের মাধ্যমে অন্য প্রাণীসহ আমরাও মারাত্মক হুমকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা।

পরিবেশবিদদের মতে, প্লাস্টিক দূষণ আমাদের নদী, সাগর, মহাসাগর ও ভূমিকে বিষাক্ত করছে। সামুদ্রিক জীবন ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং জনস্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। বাংলাদেশে সরকার ২০০২ সালে আইন করে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। কিন্তু এ আইনের কোনো বাস্তবায়ন নেই চন্দনাইশে। সারাদেশে প্রায় এক হাজার দু’শ কারখানায় নিষিদ্ধ পলিথিন তৈরি হচ্ছে। পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার একটি সেমিনারে বলেন, প্লাস্টিক শুধু আসবাবপত্র বা পলিথিনের ভিতরে সীমাবদ্ধ নেই। এগুলো ব্যবহারের পর নদী-নালা, খাল-বিল ও অন্য জলাশয়ে পতিত হচ্ছে এবং মাছের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করছে। তিনি পলিথিন ও টিস্যু ব্যাগের বিকল্প হিসাবে পাট, কাপড়, কাগজের ব্যাগ ও ঠোঙা ব্যবহার করা, এগুলো সহজলভ্য করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

প্রতিবছর ৮ মিলিয়ন মেট্টিক টন প্লাস্টিক সমুদ্রে জমা হয়। সমুদ্রে প্লাস্টিক অতি ক্ষুদ্র টুকরায় ভেঙে যায়। এসব টুকরা মাছে খেয়ে হজম করতে পারে না। মাছের পেটে জমা হতে থাকে এবং খাদ্যশৃঙ্খলে প্রবেশ করে। এ সকল ক্ষতিকর পলিথিন চন্দনাইশের প্রতিটি বাজার ও দোকানে পণ্যের সাথে ক্রেতাদের দিলেও দেখার যেন কেউ নেই। এ ব্যাপারে সচেতন মহল যথাযথ কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট