চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম প্রহরীদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি

মিতা পোদ্দার

৮ এপ্রিল, ২০২৪ | ৫:২৬ অপরাহ্ণ

প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত ও গতিশীল করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম প্রহরী পদ সৃষ্টি করে নিয়োগ দিয়ে ব্যাপক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের প্রতি অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৃষ্ট পদে নিয়োগের পর থেকে এই দপ্তরী কাম প্রহরীরা নিষ্ঠা, সততা ও কর্তব্যপরায়ণতার সঙ্গে পালন করে আসছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ৩৭ হাজার দপ্তরি কাম প্রহরী চাকরিরত অবস্থায় আছে। এদের চাকরীর কোন স্থায়ীত্বতা নেই। নেই বছর শেষে কোনরকম বেতন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেও এরা ন্যায্য বেতন ভাতা পায় না। নজিরবিহীনভাবে এদের দিনে দাপ্তরিক কাজ ও রাতে প্রহরীর দায়িত্ব পালন করতে হয়। ২৪ ঘণ্টা ডিউটি পালন করতে গিয়ে পারিবারিক বিবিধ দুর্ভোগসহ আর্থিক অভাব অনটনেও দিন যাপন করতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

এ পরিস্থিতি একজন শিক্ষক হিসেবে আমার অমানবিক মনে হচ্ছে। শুধু আমার কেন যে কোন বিজ্ঞ ও জ্ঞানী ব্যক্তি গভীরভাবে উপলব্ধি করলেই বিষয়টি সবার সামনে সুস্পষ্ট হবে। বঙ্গবন্ধুর এই স্বাধীন বাংলাদেশে কোন ধরনের পরাধীনতা নিশ্চয়ই কাম্য নয়। এদের চাকুরির ব্যবস্থায় কোন রকম সুযোগ সুবিধা নেই। মানুষ রোবট নয় যে প্রতিনিয়ত যন্ত্রের মতো কাজ চালনা করতে পারবে। প্রতিটি শরীরে ক্লান্তিবোধ থাকে। আর সেই ক্লান্তি নিরাময় করতে দরকার প্রয়োজনীয় বিশ্রাম ব্যবস্থা। কিন্তু এদের চাকুরিতে কোন নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা নেই। চাকুরি মানেই তো আনন্দের স্থান। মন সতেজ থাকলে সবটাই ভালো লাগে। খাঁচায় পাখিকে বন্দী করে রাখলে সে তো বের হওয়ার ফন্দী খুঁজবেই। পেট ভরে খাবার না পেলে চুরি করাটাই স্বাভাবিক বলে আমার ধারনা। তাই আমার অভিমত এদের বেতন বৃদ্ধিসহ, নৈমিত্তিক ছুটি, বিভিন্ন উৎসব বোনাসের ব্যবস্থা করে সুখী সমৃদ্ধ জীবন গড়তে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য মাননীয় জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং বিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ রইলো।

 

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট