চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

হায়াত মউতের মালিক আল্লাহ : মাহবুব কবীর মিলন

২২ নভেম্বর, ২০২২ | ১২:২৪ অপরাহ্ণ

অনেকের হার্ট এটাক, হঠাৎ হার্টে ব্লক ধরা পড়া; ইত্যাদি নিয়ে একটু টেনশনে ছিলাম। বয়স তো হয়েছেই। তাই হৃৎপিণ্ডের অবস্থা দেখার জন্য আজ সিটি এনজিওগ্রাম করালাম। আলহামদুলিল্লাহ, সব ক্লিন। চ্যানেলের কোথাও বিন্দু পরিমাণ ময়লা বা ক্যালসিয়াম জমেনি।

বুকে ব্যথা, প্রচুর খাওয়া-দাওয়া, বিশেষ করে রেড মিট এবং চর্বি জাতীয় খাবার গ্রহণ, হাই ব্লাড প্রেশার এবং ডায়াবেটিকস নিয়ে সচেতন না থাকা, হঠাৎ করে চরম বিপদ নেমে আসার একটি বড় কারণ। হায়াত মউতের মালিক আল্লাহপাক। কিন্তু আমাদের অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে।

আমি প্রচুর মাছ এবং কম খাবার খেয়ে থাকি। বলতে গেলে পেট খালি রেখে সামান্য খাবার গ্রহণ করতে হয় আইবিএস এর কারণে। টেবিলে মাছ থাকলে, কখনোই গোস্ত ছুঁয়েও দেখি না। গরুর গোস্ত ছয় মাসেও একদিন খাই না। খেলেও দুই এক টুকরার বেশি নয়। প্রচুর কলা খাই। আলহামদুলিল্লাহ রক্তে হিমোগ্লোবিন লেভেলও অনেক ভাল।

অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ, আমাদের অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাত্রা, ভেজাল খাবার, আমাদের একটি অসুস্থ জাতীতে পরিণত করেছে। কোটি কোটি ফার্মেসি, লক্ষ লক্ষ হাসপাতালে জড়িয়ে গেছে ১৬/১৭ কোটি মানুষ।

ভেজাল খাবার এবং হাসপাতাল, এক অদ্ভুত দুষ্ট চক্রে আবর্তিত হচ্ছি আমরা। সারাবিশ্ব মিলে যতগুলো ঔষধের দোকান আছে, শুধু আমাদের দেশেই মনে হয় এর চেয়ে দশগুণ বেশি ফার্মেসী আছে। প্রতিটি হাসপাতাল, ক্লিনিক পিলপিল করছে রোগী আর রোগী।

আমি যে প্যাথোলজি/ক্লিনিকে সিটি করালাম, সেখানে নাকি দিনে শুরু করে রাত তিনটা পর্যন্ত সিটি এনজিওগ্রাম মেশিন চালু রাখতে হয় রোগীর কারণে। অথচ স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন নিশ্চিত করা, এসডিজির একটি বড় লক্ষ্য।

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার যে দুরাবস্থা, তাতে কত বছর পরে সেটা মোটামুটি অর্জিত হতে পারে, তা একমাত্র আল্লাহপাকই ভাল জানেন। (লেখাটি ফেসবুক থেকে নেয়া)

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট