চট্টগ্রাম রবিবার, ১২ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

র‍্যাংকিংয়ে প্রথম নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি?

১৩ অক্টোবর, ২০২২ | ৯:৩৬ অপরাহ্ণ

কিছু কথা বলি রাগ করবেন না। একটা সময় আমি বলতাম, জাস্ট কয়েকটা বছর ওয়েট করেন। দেখবেন, নর্থ সাউথ ইউনির্ভাসিটি (এনএসইউ) আর ব্র‍্যাক এর ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না। এই কথা আমি ২০১৭ অথবা ২০১৮ থেকে বলি। আমার ফ্রেন্ড লিস্টের অনেক মানুষ এটার সাক্ষি আছেন। আর এখন ২০২২। আজকে বলে রাখি, লিখে রাখতে পারেন। এনএসইউ আর ব্র‍্যাককে যদি তাদের মতো চলতে দেয়া হয় তাহলে ২০৩০ এর মধ্যে এই দু’টা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়ার্ল্ড র‍্যাংকিংয়ে দুইশ’ এর মধ্যে ঢুকবে। এদের পিছু পিছু সব প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আগাবে। বুয়েট আর আইবিএ বাদে অন্য কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বা ইন্সটিটিউট বিশ্বমঞ্চে যায়গা করে নিতে পারবে না।

আমি জানি যারা পাবলিকে পড়েন তাদের এসব কথা শুনে কলিজায় মোচড় দিয়ে উঠলো। হ্যা, অবশ্যই আপনি মেধাবী এবং আপনি যোগ্যতার বলেই পাবলিকিয়ান। তবে বিশ্বাস করেন, আপনারা জানেন না যে আপনাদের মত মেধাবীদের কতকিছু থেকে বঞ্চিত করে এইসব so called public universities. বিশ্বাস করেন, আপনাদের জন্য আমার খুব খারাপ লাগে কারণ আপনাদের মেধা এবং শ্রম পণ্ড হচ্ছে।

আমার মতে এনএসইউ’র এমন অপরাজেয় গতির কারণগুলো এমনঃ

১। Working under pressure এর effective এবং logical culture তৈরি করা। এনএসইউতে আপনি পড়ার প্রেসার পাবেন কিন্তু in the name of dedication আপনাকে কেউ লাঞ্চের পরে আসতে বলবে না administration থেকে।

২। এনএসইউ টাকা খায়, টাকা মারে কিন্তু আপনাকে চুড়ান্ত পর্যায়ে সার্ভিস দিয়ে এরপর টাকা মারে। খুব কেয়ারিং একটা উদাহরণ দিতে বাধ্য হচ্ছি, টিএসসি’র ওয়াশরুম বছর দু’য়েক আগে টাইলস করানোর পরে সবাই বলাবলি করতে লাগলো টিএসসি তো এখন পুরাই ভিআইপি যায়গা। আহারে ভাই আমার, এনএসইউ এর ওয়াশরুমের টাইলস দিনে কয়েকবার perfumed disinfectant spray দিয়ে মুছে। মনে হচ্ছে না এটা কেমন ছেলেমানুষী তুলনা? নারে ভাই, পরিবর্তন এমন ছোট যায়গা থেকেই শুরু হয়।

৩। They hold a mindset of providing you service not leaning back and acting like a boss. ওরা প্রতিটা মুহূর্ত চিন্তা করে তাদের স্টুডেন্টদের আর কি কি সার্ভিস দেয়া যায়, আর কোথায় কোথায় তাদের গ্যাপ আছে। They took it as a business and that’s why they are concerned about the ROI. আর ROI নিশ্চিত করতে গিয়েই তারা রিসার্চের উপর মনযোগ দেয়, স্টুডেন্টদের real world এ competitive করার জন্য মরিয়া হয়ে থাকে।

৪। আপনি যদি আজকে এনএসইউকে গিয়ে বলেন, আমার কাছে এই গবেষণা আছে যেটা আমাদের বিশ্বমঞ্চে এগিয়ে নিবে তাহলে ওরা আপনার পেছনে লাখ লাখ টাকা ঢালতেও দ্বিধা করবে না। ওরা আপনাকে লাঞ্চের পরেও আসতে বলবে না কিংবা বলবে না, ‘আমাদের এসবের দরকার নেই কারণ আমাদের চা, চপ, সিংগারা আছে’।

দেশটা মেধাশূন্য হয়ে যাচ্ছে, অকল্পনীয়ভাবে brain-drain হচ্ছে, অনেক ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। পরিবর্তনের এখন চুড়ান্ত সময়।

লিখাটি তাসাওয়ার আহমেদের ফেসবুক (Tasawar Ahmad) থেকে নেয়া।

পূর্বকোণ/মামুন/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট