চট্টগ্রাম রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪

কক্সবাজার রেললাইন হল, বাদলের স্বপ্নের তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু হল না

অনলাইন ডেস্ক

৭ নভেম্বর, ২০২৩ | ৯:০৯ অপরাহ্ণ

সব সাংসদ সদস্য সংসদ বেত্তা বা পার্লামেন্টারিয়ান হন না, কেউ কেউ হন। ব্রিটিশ আমল, পাকিস্তান আমল এবং বর্তমান বাংলাদেশ আমলে যেসব সংসদ গঠিত হয়েছে, তা’ থেকে মাত্র হাতেগোনা ক’জন সদস্যকে আমরা পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবে আবির্ভূত হতে দেখি। নূর আহমদ চেয়ারম্যান (বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক পরিষদ, পাকিস্তান গণপরিষদ), প্রফেসর সুলতান উল আলম চৌধুরী, নুরুল হক চৌধুরী (পূর্ববঙ্গ ব্যবস্থাপক পরিষদ), মৌলভী ফরিদ আহমদ, শাহ আজিজুর রহমান, সবুর খান, আতাউর রহমান খান, আবদুল মালেক উকিল, মিজানুর রহমান চৌধুরী (পাকিস্তান জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ)। অথচ তিন আমলে সংসদ সদস্যের সংখ্যা কম হলেও কয়েক হাজার হবে।

 

বাংলাদেশে ১১টি জাতীয় সংসদ গঠিত হয়েছে। এর মধ্যে আতাউর রহমান খান, অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ, আছাদুজ্জামান খান অ্যাডভোকেট, মিজানুর রহমান চৌধুরী, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, নূরে আলম সিদ্দিকী, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী প্রমুখ পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।

 

চট্টগ্রাম থেকে মাত্র ৫ জনকে পাই যাঁরা পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবে খ্যাতিমান হন। এঁরা হচ্ছেন- নূর আহমদ চেয়ারম্যান, প্রফেসর সুলতান উল আলম চৌধুরী, নুরুল হক চৌধুরী, মৌলভী ফরিদ আহমদ, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। এই তালিকায় আরো একজনের নাম আসবে, তিনি হচ্ছেন বোয়ালখালী-চান্দগাঁও-পাঁচলাইশ (আংশিক) থেকে দু’-দু’বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য জাসদ নেতা মঈনুদ্দীন খান বাদল। জাসদ ১৪ দলীয় জোটে যোগদান করার পর জাসদের কোটায় জোটের প্রার্থী হিসেবে বাদল টিকিট লাভ করেন এবং নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

 

মঈনুদ্দীন খান বাদলের প্রতিভা ছিলো। একজন কুশলী, বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ হিসেবে বাদল জাতীয় রাজনীতিতে নিজের জন্য একটা স্থান করে নিয়েছিলেন। বিশেষ করে তাঁর বাগ্মিতার জন্য তিনি জাতীয় রাজনীতিতে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাঁর ভরাট গলায় দৃঢ়, যুক্তিপূর্ণ, জ্ঞানগর্ভ, আত্মপ্রত্যয়ী, জোরালো অপূর্ব বক্তৃতা শৈলীর জন্য তিনি সুখ্যাতির অধিকারী হয়েছিলেন। তিনি যখন মাঠে বক্তৃতা করতেন, তখন তাঁর কণ্ঠ থেকে যে তেজপুঞ্জ নির্গত হতো, তা’ মাঠের চারপাশের অট্টালিকা ও গাছপালায় প্রতিধ্বনিত হয়ে গমগম করে উঠতো; তাঁর ওজনদার, গম্ভীর কণ্ঠস্বর সম্পন্ন বক্তৃতা দর্শক-শ্রোতাদের কর্ণে অপূর্ব ব্যঞ্জনায় প্রতিধ্বনিত হয়ে সভাস্থলকে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখতো।

 

মঈনুদ্দীন খান বাদলের বাচনভঙ্গী, উচ্চারণ, স্বরক্ষেপনের মধ্যে যে মুন্সিয়ানা পরিলক্ষিত হতো, তা’ যিনি শুনেছেন, তাঁর কানের ভিতর দিয়ে মর্মে প্রবেশ করে অনেকক্ষণ অন্তরে অনুরণন তুলতো। তিনি যখন পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হলেন, সেখানে তিনি যে বক্তৃতা করতেন, তা’ আরো ভাবগম্ভীর, বলিষ্ঠ, যুক্তিপূর্ণ হত; তাতে তিনি তাঁর বক্তব্যের স্বপক্ষে দেশ বিদেশের বিভিন্ন রেফারেন্স টেনে তত্ত্ব, তথ্য, যুক্তি, উদাহরণ পেশ করতেন যে, পিনপতন নীরবতার মধ্যে সংসদ উৎকর্ণ হয়ে শ্রবণ করতো তাঁর বাকশৈলীর অনুপম প্রদর্শনী। অচিরেই সংসদে একজন তুখোড় পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবে বাদল নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

 

টিভি চ্যানেলে যখন টক শো, গোলটেবিল, আড্ডা ইত্যাদির রেওয়াজ চালু হলো, তখন বাগ্মী, সুবক্তা, তার্কিক, চিন্তাবিদ, লেখক, ভাষ্যকার, সাংবাদিক, কলামিস্ট এবং বিশ্লেষকদের কদর বেড়ে গেল। তাঁরা টিভি পর্দায় ঝাঁকিয়ে বসে যুক্তি-তর্ক, ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের তীব্র ঘষাঘাতে মধ্যরাতের আসর মাতিয়ে তুলতেন। এমন সময়ে মঈনুদ্দীন খান বাদলকে পেয়ে তাঁরা লুফে নিলেন। টিভি’র পর্দায়ও বাদল অনতিবিলম্বে জনপ্রিয় টকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেলেন। 

 

আগামী ২১ নভেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধন করবেন। চট্টগ্রাম থেকে রেললাইন ছিলো দোহাজারী পর্যন্ত। শেখ হাসিনাই এই রেললাইন কক্সবাজার পর্যন্ত সম্প্রসারণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং বাস্তবায়নও করে ফেলেছেন ইতিমধ্যে। কিন্তু ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যেতে ছোট্ট একটি সমস্যা রয়ে গেছে। সেটি হচ্ছে কালুরঘাট সেতু। এই সেতুটি ব্রিটিশ সরকার ১৯৩১ সালে নির্মাণ করেছিলেন। ইতিমধ্যে শতবর্ষের দ্বারপ্রান্তে উপনীত সেতুটি নড়বড়ে ও জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। বারবার মেরামত করে, জোড়াতালি দিয়ে সেতুটি কার্যকর রাখা হয়েছে। কিন্তু কতদিন সেটা সম্ভব হবে ?

 

কালুরঘাট সেতুর কথা উঠলেই মঈনুদ্দীন খান বাদলের কথা মনে পড়ে। রেলওয়ে সেতুর ওপর চাপ কমানোর জন্য তিনি বাস চলাচলের একটি বিকল্প সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। রেলওয়ে সেতুর কিছুটা দক্ষিণে কর্ণফুলীর উপর পশ্চিমে শহরের সঙ্গে পূর্বে বোয়ালখালীকে সংযুক্ত করার জন্য বাদল লম্বালম্বি একটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সরকারের কাছে দেন-দরবার সহ তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ব্যক্তিগতভাবে কর্ণফুলী ওপর আরেকটি সেতু নির্মাণের জন্য আবেদন করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু মৃত্যু এসে বাদলের জীবনের অগ্রযাত্রকে অকালে থামিয়ে দিলে তাঁর পক্ষে আর সেতুটি দেখে চিরবিশ্রামে যাওয়া হলো না। এই সেতু নির্মাণের জন্য বাদল বোয়ালখালীর মানুষকে নিয়ে মানববন্ধন, সভা, মিছিল, অবরোধ এবং অনশন পর্যন্ত করেছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাঁর পরবর্তী এমপি মোছলেমউদ্দিনে আহমদও সেতুর ইস্যুটাকে পিক-আপ করে দেন-দরবার কম করেননি, কিন্তু সফলকাম হতে পারেননি।

 

অনলবর্ষী বক্তা মঈনুদ্দীন খান বাদল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যমন্ডিত বোয়ালখালী থানার সারোয়াতলী গ্রামে এস,পি আহমদ উল্লাহ খান বাড়ির ‘খান মহলে’ ১৯৫২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মৃত আলহাজ আহমদ উল্লাহ খান ও মাতা মৃত আলহাজ যতুমা বেগম। পুলিশ সুপার পিতার চাকরির সুবাদে তিনি বিভিন্ন জেলায় অবস্থানের এবং শিক্ষার সুযোগ পেয়েছেন। বিশেষত চট্টগ্রাম ও ঢাকায়। মেধাবী ছাত্র হিসেবে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে কৃতিত্বপূর্ণ অধ্যয়ন শেষে চট্টগ্রাম কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে অধ্যয়ন এবং পরবর্তীকালে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড-খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে অধ্যয়নকালীন সময় থেকেই বিশ্বের বরেণ্য রাজনীতিবিদদের জীবনদর্শন, রাজনৈতিক দর্শন-অধ্যয়নে এবং আকর্ষণে রাজনীতিতে ঝুঁকে পড়েন বাদল।

 

১৯৬৭ সালে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবনের যাত্রা শুরু। ১৯৬৯ সালে স্বাধীন বাংলার গোপন নিউক্লিয়াস বডির সদস্যপদ লাভ এবং আইয়ুববিরোধী আন্দোলনের অন্যতম ছাত্র সংগঠক ছিলেন। বাংলাদেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ষাটের দশকের প্রথমার্ধে গঠিত গোপন সংগঠন নিউক্লিয়াস বডির পক্ষ থেকে ওপার বাংলায় যোগাযোগ করতে গিয়ে আগরতলায় গ্রেফতার হন। কারা ভোগ করেন দেড় বছর। যৌবনের বলদৃপ্ত সময়ে এই কারাভোগ তাঁকে স্বদেশ প্রেম ও গণমানুষের কল্যাণের লক্ষে সক্রিয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হবার প্রবণতাকে আরো বেশি সুদৃঢ় করে তোলে।

 

১৯৭১ সালের মার্চ মাসে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে সারাদেশে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হলে বাদল তাতে অংশগ্রহণ করেন। তারপর ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ আরম্ভ হলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মৌলভী সৈয়দ নেতৃত্বে তিনি চট্টগ্রাম মহানগরীতে  প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৫ আগস্ট স্থানীয় গেরিলা বাহিনীর মাধ্যমে এ.ডব্লিউ, চৌধুরী বীর উত্তম-এর নেতৃত্বে বঙ্গোপসাগরে নেভাল কমান্ডো ‘অপারেশন জ্যাকপটে’র (সিঙ্গেল বিগেস্ট সাকসেসফুল অপারেশন) সমন্বয় ও সার্বিক সহায়তা প্রদানে  মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। চট্টগ্রাম পাকিস্তানী শত্রুমুক্ত হবার পর চট্টগ্রামে বহদ্দারহাটের চান্দগাঁও ওয়ার্ডে অবস্থিত বেতার কেন্দ্র থেকে “চট্টগ্রাম মুক্ত” ঘোষণাটি সর্বপ্রথম তিনিই প্রচার করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ ফজলুল হক মণির নেতৃত্বে মুজিব বাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের সদস্য ছিলেন।

 

১৯৭২-এ জাসদের প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই তিনি দলটির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সংগঠকদের মধ্যে তিনিও অন্যতম একজন। আট সাত পাঁচ দলের আন্দোলনের তিনি অন্যতম রূপকার।

 

মঈনুদ্দীন খান বাদল মুক্তিযুদ্ধে ও দেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রামে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বোমা ও গুলিতে আহত হন। তবুও আহত পা নিয়ে সাহসী প্রত্যয়ে দেশ ও গণ মানুষের কল্যাণে রাজনীতিতে সার্বক্ষণিক তৎপরতায় সক্রিয় ছিলেন। দেশের বাইরে অগণিত সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও সভায় তিনি অংশগ্রহণ করেছেন। বিশ্বের কিংবদন্তী নেতা নেলসন মেন্ডেলার মুক্তির ব্যাপারে বিশপ ডেসমন্ড টুটুর নেতৃত্বে লন্ডনে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন। সারাবিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় আণবিক বোমা সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে আয়োজিত সেমিনারে ও সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণ করেছেন। পি.পি-২১ আন্তর্জাতিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য থাকা অবস্থায় বাবরী মসজিদ ধ্বংসের বিরুদ্ধে আয়োজিত আন্তর্জাতিক মিছিলে নেতৃত্ব দেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থান তুলে ধরার জন্য ব্রিটিশ হাউস অফ কমন্স এবং হাউস অফ লর্ডসে বক্তব্য রাখার গৌরব অর্জন করেন।

 

বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষে সকলের সহযোগিতা চেয়ে হাউস অব কমন্সের আর্লি ডে মোশন-এ বক্তব্য প্রদান করেন। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান পিপলস ফোরামের ত্রি-দেশীয় কমিটির সেক্রেটারি ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে ৬৮তম জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগদান করেন। একজন তুখোড় বক্তা হিসেবে দেশে এবং বিদেশে তিনি বিশেষভাবে সমাদৃত। তাঁর অসংখ্য লেখা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জার্নাল/পত্রিকায় মুদ্রিত হয়েছে। তাঁর লেখা প্লাউ নট ক্যানন (কামান নয় লাঙ্গল) বইটি অসাধারণভাবে সমাদৃত হয়েছে। রাজনৈতিক দর্শন ও জীবন অনুভবের অনুপম সৃষ্টির এই বইটি ভারতের জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বিভাগের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

 

২০০৮ এবং ২০১৪ সালে মহাজোট সরকারের অধীনে চট্টগ্রাম-৭ এলাকার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুইবার তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সরকারি ক্রয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। মঈনুদ্দীন খান বাদল সার্বক্ষণিক রাজনীতিবিদ হিসেবে দেশ ও জনগণের কল্যাণে একজন নিবেদিত প্রাণ ব্যক্তি ছিলেন।  স্ত্রী সেলিনা খান এবং এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়েই ছিলো বাদলের সুখী পরিবার।

 

লেখক: নাসিরুদ্দিন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সিনিয়র সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক।

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট