চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বিশ্ব নদী দিবস

দূষণমুক্ত নদী এবং সুস্থ জীবন

মো. মনজুরুল কিবরীয়া

২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ | ১১:৪৫ অপরাহ্ণ

আজ ‘বিশ্ব নদী দিবস ২০২১’। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত বাংলাদেশেও সরকারি বেসরকারিভাবে সেপ্টেম্বর মাসের চতুর্থ সপ্তাহে (রবিবার) ‘বিশ্ব নদী দিবস’ উদযাপিত হয়ে আসছে। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘মানুষের জন্য নদী’।

ইংরেজিতে River’s for community। নদী মাতৃক বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে এবছরের প্রতিপাদ্য বিষয় খুবই যথার্থ। বাংলাদেশের মানচিত্র নদীর কল্যাণেই সৃষ্ট। ঐতিহাসিক কাল থেকেই বাংলা ভূখণ্ডের মাটি ও মানুষের সঙ্গে নদ-নদী ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত, শ্যামল সৌন্দর্য্যরে চাবিকাঠির একমাত্র বাহক ও নিয়ন্ত্রক। বাংলাদেশে সভ্যতার ক্রমবিকাশ, যোগাযোগ-অর্থনীতির মূল ভিত্তি রচিত হয়েছে নদীকে কেন্দ্র করে তেমনি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যেরও মূল ভিত্তি হচ্ছে নদী। সাহিত্য, গান, নাটক, চলচ্চিত্রে নানাভাবে উঠে এসেছে নদীর প্রসঙ্গ। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের হিসাব মতে শাখা-প্রশাখাসহ প্রায় ৭৬৭টি নদ-নদী বিপুল জলরাশি নিয়ে ২৪,১৪০ কিলোমিটার জায়গা দখল করে দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। সে হিসেবে এদেশের ৭ ভাগের এক ভাগ ভূখন্ডই নদীর দখলে। একাদশ শতাব্দীতে বাংলাদেশের ভূখন্ডে নদীর সংখ্যা ছিল প্রায় দেড় হাজার। নদীগুলো ছিল প্রশস্ত গভীর ও পানিতে টইটুম্বুর। বাংলাদেশের প্রবাহিত আন্তর্জাতিক নদী ৫৮টি। বাংলাদেশ-ভারত ৫৫টি ও বাংলাদেশ-মায়ানমার ৩টি।

বাংলাদেশের নদ-নদীগুলোর বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত করুণ। নদী দেশের প্রাণশক্তি। বিশুদ্ধ রক্ত ও শিরা উপশিরায় বাধাহীন রক্তপ্রবাহ ছাড়া যেমন আমরা সুস্থ দেহ কল্পনা করতে পারিনা তেমনি বিশুদ্ধ পানি ও প্রতিবন্ধকতাহীন নদীর প্রবাহ ছাড়া বাস উপযোগী দেশ এবং সুস্থ জনস্বাস্থ্য কল্পনা করা যায় না। পানির প্রবাহ অস্বাভাবিক কমে যাওয়ায় নদ-নদীগুলোতে অসংখ্য চর জেগেছে। নৌ চলাচল, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। ভূপৃষ্ঠের পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে নিচে নেমে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সব নদীই ভারত, নেপাল, মায়ানমার ও চীনের সাথে মিশে আছে। প্রতিবেশী দেশ ভারত ৫৪টি অভিন্ন নদীর প্রায় সবগুলোতেই উজানে পানি প্রত্যাহার এবং পানির অসম বণ্টনের কারণে ভাটির দেশ বাংলাদেশ মারাত্মক পানি, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির কবলে পড়ছে।

চারটি বিষয় বিবেচনা করে যে কোন নদীর সুস্থতা পরিমাপ করা যায়। এর প্রথম বিষয় হলো পানির গুণগত মান। একটি নদীর সুস্থতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য তার পানির গুণগত মান। পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন, পিএইচ, বিওডি, সিওডি, হার্ডনেস, কনডাকটিভিটি, লবণাক্ততা, টোটাল ফসফেটসহ নানান প্যারামিটার ভালো থাকলে নদী ভালো আছে এমন মন্তব্য করা সম্ভব। পানির উপরোক্ত প্যারামিটারগুলোর মাত্রা থেকে ওয়াটার কোয়ালিটি ইনডেক্স (ডছও) হিসাব করার মাধ্যমে নদীর সুস্থতা পরিমাপ করা যায়।

শুধুমাত্র একটি প্যারামিটার বিবেচনা করেও নদীর অবস্থা সম্পর্কে অনেক ধারণা নেয়া সম্ভব। যেমন, যদি ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কোন নদীর দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ ৮ থেকে ৯ পিপিএমের মধ্যে থাকে তবে নদীটির স্বাস্থ্য ভালো এমনটা ধারণা করা যায়। যদি পরিমাণ ৬.৭ থেকে ৮ পিপিএমের মধ্যে হয় তবে নদীটি সামান্য দূষিত এমন ধারণা করা যায়। যদি পরিমাণ ৪.৫ থেকে ৬.৭ পিপিএমের মধ্যে থাকে তবে নদী মোটামুটি দূষিত, যদি ৪ থেকে ৪.৫ পিপিএমের মধ্যে থাকে তবে মারাত্মকভাবে দূষিত বলে ধারণা করা সম্ভব। দ্বিতীয় বিষয়টি হলো, মাছ এবং অন্যান্য জীববৈচিত্র্যের প্রাচুযর্তা। সুস্থ নদীতে মাছ, প্লাঙ্কটন, বেনথোসসহ নানান জলজ প্রাণীর বৈচিত্রময় অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়। তৃতীয় বিষয়টি হলো উদ্ভিদের সমৃদ্ধি। পানিতে ফাইটোপ্লাঙ্কটনসহ নদীর পাড়ের রিফারিয়ান ভেজিটেশন দেখে নদীর সুস্থতার বিষয়ে ধারণা পাওয়া সম্ভব হয়। চতুর্থ বিষয়টি হলো পানির প্রবাহ। স্থির নদী সুস্থ নদীর লক্ষণ না, সুস্থনদীর বৈশিষ্ট্যই হলো পানির প্রবাহ। সুস্থ নদীর উদাহারণস্বরুপ আমরা সাংগু নদীর কথা বলতে পারি।

নদীর পরিবেশ সুস্থ আছে কিনা তা জানার জন্যে বৈজ্ঞানিক উপাত্তের পাশাপাশি সার্বিক অবস্থা দেখেও আমরা ধারণা করতে পারি। সাধারণভাবে একটি নদীর উপর তীরবর্তী সামগ্রিক জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা নির্ভর করে। নদীর পরিবেশ সুস্থ থাকলে সে নদীতে মানুষের দৈনন্দিন ব্যবহার, খাবার পানি সংগ্রহ, গোসল, যোগাযোগ, কৃষি, মৎস্য আহরণসহ নানান কার্যকলাপ লক্ষ্য করা যায়। একটি নদীতে মাছের বেঁচে থাকার জন্য পরিবেশগত কোয়ালিটি স্ট্যান্ডার্ড (EQS) হচ্ছে পিএইচ ৬.৫ থেকে ৮.৫, দ্রবীভূত অক্সিজেন ৫ মিগ্রা/লিটার এবং বিওডি ৬ মিগ্রা/লিটারথাকা প্রয়োজন।

কিন্তু ২০১০-২০১৫ সালে ২৮টি নদীর ৬৬ স্টেশনের উপর পরিবেশ অধিদপ্তর পরিচালিত গবেষণার রিপোর্টে দেখা যায়, তুরাগ নদীতে সর্বনিম্ন পিএইচ ছিলো ২০১০ সালে যার পরিমাণ ৬.৩৯ এবং সর্বোচ্চ ছিলো ২০১১ সালে যার পরিমাণ ছিলো ৭.৭৪। সর্বনিম্ন দ্রবীভূত অক্সিজেন দেখা যায় ২০১০ সালে যার পরিমাণ ছিলো ০ মিগ্রা/ লিটার এবং সর্বোচ্চ দেখা যায় ২০১১ সালে যার পরিমাণ ছিলো ৩.৯৪ মিগ্রা/লিটার। তুরাগ নদীতে সর্বনিম্ন বিওডি দেখা যায় ২০১৩ সালে যার পরিমাণ ছিলো ৪.৫৮ মিগ্রা/লিটার এবং সর্বোচ্চ দেখা যায় ২০১৫ সালে যার পরিমাণ ছিলো ৩৫.৭০ মিগ্রা/লিটার। এই তথ্য থেকে বাংলাদেশের নদী দূষণের ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠে। বাংলাদেশে নদী দূষণের প্রধান উৎসসমূহ প্রাকৃতিক এবং মানুষসৃষ্ট বা উভয় উৎস দ্বারা দূষিত হচ্ছে। স্পিনিং মিল, ডাইং, তুলা, টেক্সটাইল, স্টিল মিল, তেল শোধনাগার এবং অন্যান্য শিল্প থেকে প্রচুর পরিমাণে অপরিশোধিত বর্জ্য নিয়মিতভাবে নদীতে ছেড়েদেওয়া হয়। জাহাজ ভাঙা শিল্প বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল শিল্পগুলির মধ্যে একটি যা বাংলাদেশের উপকূলীয়অঞ্চলের সমুদ্রের পানি এবং ভূগর্ভস্থ পানিতে ভারি ধাতু দূষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। কীটনাশকের অপরিকল্পিত ব্যবহার পৃষ্ঠ এবং ভূগর্ভস্থ পানি দূষণের মাত্রা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে বিশেষ করে কৃষিজমি থেকে বৃষ্টি বা প্রবাহিত পানির কারণে। ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিক দূষণ বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড়হুমকি। ভূঁইয়া (২০১০) গবেষণা মতে বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির ভারী ধাতু এবং তাপ কাছাকাছি পানি দূষণের জন্য দায়ী।

সম্প্রতি একটি ফার্নেস অয়েলবাহী ট্যাংকার দুর্ঘটনার ফলে আনুমানিক ৩৫০,০০০ লিটারফার্নেস অয়েল নদীর পানিতে ছড়িয়ে পড়ে। দেশের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের ভিতরে শেওলা ও পশুর নদীতে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকা জুড়ে এতে দূষণ ছড়িয়ে পড়ে। প্লাস্টিক বর্জ্য বাংলাদেশের নদী দূষণের জন্য এক ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ বছরে প্রায় আট লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য নদীতে নিমজ্জিত হয় এবং প্রতিদিন ৩,০০০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন হয়। প্রতিবছর উৎপাদিত মোট বর্জ্যরে ৮% প্লাস্টিক। ঢাকা শহরে প্রতিদিন প্রায় ১৪০ লাখ পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করা হয়। এগুলি প্রায়ই নদী এবং সমুদ্রকে দূষিত করছে।

পদ্মা, যমুনা এবং মেঘনা নদীর মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ৭৩,০০০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্রে পতিত হয়। গৃহস্থ্য বর্জ্য ছাড়াও ভারত, নেপাল এবং চীন থেকেও প্লাস্টিক বর্জ্য গঙ্গা, যমুনা এবং ব্রহ্মপুত্রের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশের নদী-খালসহ আমাদের অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে জমা হয়। বিশুদ্ধ পানির সুস্থ নদী জনস্বাস্থ্যের পরিপূরক। উন্নত ও উন্নয়নশীল উভয়দেশেই পানির দূষণ বেড়েছে যা কোটি কোটি মানুষের শারীরিক ও পরিবেশগত স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ। জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সংস্থার তথ্য মতে কলেরা, টাইফয়েড, পোলিও এবং ডায়রিয়া রোগের মতো পানি সংশ্লিষ্ট রোগ থেকে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী প্রায়৩৪ লাখ মানুষ মারা যায়। বাংলাদেশে প্রতিবছর পাঁচবছরের কমবয়সী এক লক্ষাধিক শিশু ডায়রিয়াজনিত রোগের কারণে মারা যায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (২০১৬) তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতিবছর ৪৫,০০০-এরও অধিক কমবয়সী যুবক মারা যায় ডায়রিয়াজনিত পানির ফলে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে। একটি গবেষণায় বাংলাদেশের ৫২টি জেলা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে এবং দেখা গেছে যে আর্সেনিকের কারণে প্রায় ৪ কোটি লোক ঝুঁকিতে রয়েছে। অন্য গবেষণায় দেখা গেছে যে আর্সেনিকজনিত রোগে বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৯১৩৬ জনের মৃত্যুর কারণ। অণুজীবের সংক্রমণ দ্বারা দূষিত পানি পান করার ফলে টাইফয়েড, আমাশয়, ডায়রিয়া, হেপাটাইটিস এ এবং হেপাটাইটিস বিএর মতো কিছু রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

ভূপৃষ্ঠের পানিতে কীটনাশক দূষণ বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্যের জন্য আরেকটি হুমকি। গবেষণায়দেখা গেছে যে কীটনাশকের দূষণের ফলে বমিভাব, ঝাপসা দৃষ্টি, কোমা, শ্বাসকষ্ট, মানবদেহে হাইপার একটিভিটি ডিসঅর্ডার সৃষ্টি করতে পারে। ২০১১ এর একটি সমীক্ষায় জানা গেছে যে অনেক কীটনাশক দূষণের ফলে ক্যান্সার এবং হৃদরোগের মতো কিছু রোগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে এবং জেনেটিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। ভারী ধাতুর সংস্পর্শে কিডনির ক্ষতি, ক্যান্সার, গর্ভপাত, এবং কখনও কখনও মৃত্যু হতে পারে। শাকসবজি এবং ফলগুলিতে তামা, ক্যাডমিয়াম এবং সিসার মতো উপাদানগুলির একটি উচ্চ ঘনত্বে থাকে যা উপরের গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। পানি দূষণের ফলে পানিবাহিত রোগ মানুষের মধ্যে সহজে ছড়িয়ে যায় এবং মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকির কারণ হয়।

কোভিড ১৯ লকডাউন নদীর জন্য ভেন্টিলেটর হিসেবে কাজ করেছে। লকডাউনের সময় গঙ্গা নদীতে ৩৬টি মনিটরিং ইউনিটের মধ্যে ২৭টি পয়েন্টে পানির গুণমান মানুষের গোসল, বন্যপ্রাণী ও মৎস্যচাষের জন্য উপযোগী পাওয়া গেছে। ২০২০ সালের ৬ মার্চ বানারসির নাগওয়া এলাকায় দ্রবীভূত অক্সিজেন এর মান ৩.৮ মিলিগ্রাম/লিটার থেকে ৪ এপ্রিল ৬.৮ মিলিগ্রাম/লিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। হালদা নদী থেকে ২০২০ সালে চৌদ্দ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডিম সংগ্রহ নদীর জলজ ইকোসিস্টেমের উন্নতির ইঙ্গিত বহন করে। যথাযথ মনিটরিং, আইন প্রয়োগ, পর্যাপ্ত মানবসম্পদের অভাব পাশাপাশি আধুনিক ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এবং পরিকল্পিত পানি সরবরাহ ব্যবস্থার অভাব, পানির ব্যবহার এবং সুরক্ষা সম্পর্কে কম সচেতনতা এবং শিক্ষা বাংলাদেশের নদীদূষণের প্রধান কারণ, যা দিনে দিনে মানবসভ্যতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

নদী রক্ষায় সরকার আন্তরিক। এর প্রমাণ চট্টগ্রামের হালদা নদী। বাংলাদেশের হালদা নদী বিশ্বের একমাত্র জোয়ার ভাটার নদী যেখান থেকে রুই জাতীয় মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করা হয়। এ ইউনিক নদীর প্রাকৃতিক মৎস্যপ্রজনন সংরক্ষণ এবং জলজ জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও উন্নয়নের জন্য সরকার বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে হালদা নদীকে ‘বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ’ ঘোষণা করে।

‘মানুষের জন্য নদী’, ২০২১ সালের এই প্রতিপাদ্যকে উপলব্ধি করার মাধ্যমে, সুন্দর ও সুস্থভাবে মানুষ বেঁচে থাকার জন্য, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য নদী রক্ষায় সবাই এগিয়ে আসবে এই আশা ব্যক্ত করি।

লেখক: প্রফেসর ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া সভাপতি, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ; সমন্বয়ক, হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট