চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

কন্সপিরেসি থিওরি বিশ^াস-অবিশ^াসের দোলাচল

মুহাম্মদ আবু নাসের

২৫ জুন, ২০১৯ | ১:০৮ পূর্বাহ্ণ

পৃথি বীর বড় বড় ঘটনা গুলোর নেপথ্যে কারো হাত রয়েছে – এমন চিন্তা থেকেই ষড়যন্ত্র তত্ত্বের আবির্ভাব। ধারণা করা হয়, টুইন টাওয়ার হামলা, ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া, আফ্রিকায় ইবোলা সংক্রমণ, আধুনিক হাইব্রিড খাদ্য পণ্যের প্রচলনসহ এ ধরনের অসংখ্য ঘটনার নেপথ্যে কাজ করছে কোন শক্তিশালী চক্র। সারা বিশ^কে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় তারা। আমেরিকার নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতেই। ক্ষমতাধর রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে দুনিয়া কাঁপানো তারকারা এমনকি বিদগ্ধ বুদ্ধিজীবীরা পর্যন্ত এই চক্রের সঙ্গে জড়িত। তাই, উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য তারা এমন সব কর্মকা- করেন যা পুরো পৃথিবীর ওপর প্রভাব বিস্তারে সক্ষম। বিশ^জুড়েই এমন অসংখ্য কথা প্রচলিত আছে যেগুলো কন্সপিরেন্সি থিওরি বা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নামে পরিচিত।
সত্যিই মানুষ চাঁদে গিয়েছিল কি না এই বিতর্কের শুরুটা করেছিলেন বিল কেসিং নামের একজন লেখক। এক বইয়ে তিনি দাবি করেন, মানুষ কখনোই চাঁদে যায় নি। ‘অ্যাপোলো’ মিশন নিখুঁতভাবে সাজানো একটি গল্প। আর, এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্য কারণ হিসেবে তিনি দায়ী করেন, রুশ-মার্কিন মহাকাশ প্রতিযোগিতাকে। মহাশূন্যে রাশিয়া আগেই মহাকাশযান পাঠানোর ফলে আমেরিকা যে কোন মূল্যে তাদের টেক্কা দিতে চাইছিল। তাই, চাঁদে না গিয়েও তারা চাঁদে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল বলে মনে করেন কেসিং। এজন্য বেশকিছু তথ্য প্রমাণও হাজির করেন তিনি। এসব তথ্য প্রমাণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল – চাঁদে যে ছবিগুলো তোলা হয়েছে তার কোনটিতেই আকাশে তারার কোন চিহ্ন নেই। কিছু কিছু ছবির আলো ছায়ায় কৃত্রিমতা ও অসামঞ্জস্যতা দেখা যায়। কাছাকাছি দাঁড়ানো দুজন নভোচারীর ছায়ায় দৈর্ঘ্য ও অনেক বেশি। একটি ছবিতে চাঁদের বুকের একটি পাথরে ইংরেজি ‘সি’ বর্ণমালার ন্যায় কিছু একটা দেখা গেছে। সিনেমার শুটিংয়ে ‘সি’ বর্ণ দিয়ে এলিমেন্ট বা প্রপস বোঝানো হয়। শুটিংয়ের সময় কিছু স্থানে অতিরিক্ত আলো ফেলে হটস্পট তৈরি করা হয়, চাঁদের ছবিগুলোতেও এ ধরনের কিছু ব্যবহার করা হয়েছে।
এছাড়াও বলা হয়, দিনের বেলা চাঁদের পৃষ্ঠ খুবই উত্তপ্ত থাকে। এমন তাপমাত্রায় নাসা’র ক্যামেরা গলে যাওয়ার কথা। চাঁদে বাতাস নেই বলা হলেও দাবি করা হয়, একটি ছবিতে মার্কিন একটি পতাকাকে দেখে মনে হচ্ছে যেন উড়ছে। কেসিং দাবি করেন, চাঁদে অবতরণের ভিডিওটি কোন মরুভূমিতে স্লো মোশনে করা হয়েছে। চাঁদে অবতরণের সময় রকেটের মধ্য থেকে কোন স্ফুলিঙ্গ বেরিয়ে আসতেও দেখা যায় নি।
চাঁদের মাটিতে প্রথম পা ফেলা নিল আর্মস্ট্রং, এখন আর বেঁচে নেই। ২০১২ সালের ২৫ আগস্ট তিনি মারা গেছেন। এসব অভিযোগের ব্যাপারে তিনি কখনো মন্তব্য না করলেও বৈজ্ঞানিকভাবে বিল কেসিং এর উত্থাপিত সবগুলো যুক্তিই খ-নযোগ্য।
অনেকে বিশ^াস করেন, বিশ^খ্যাত অসংখ্য তারকারই বাস্তবে কোন অস্তিত্ব নেই। আমরা যাদের দেখি তারা আসলে হুবহু চেহারার অন্য আরেকটি ক্লোন করা মানুষ। তাদের জন্ম হয়েছে গবেষণাগারে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট