তিন ছাত্র সমন্বয়ক প্রতিনিধি শপথ নিয়ে সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁরা যে নির্দেশ, আদেশ, পরামর্শ দেবেন, তা’ স্বস্ব মন্ত্রণালয় এবং আওতাধীন সকল দপ্তরের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী মানতে বাধ্য। যেহেতু তাঁরা সরকারি সিস্টেমের অন্তর্গত। কাজেই সরকারের প্রাপ্য প্রটোকল তাঁরা পাবেন।
তাঁরা বয়সে অনেক কম এবং ছাত্র হলেও যেহেতু তাঁরা উপদেষ্টা বা মন্ত্রী, সেহেতু তাঁদের আদেশ নির্দেশ পালনে সচিব, ডিজি, চেয়ারম্যানসহ সকল কর্মচারী তা পালনে লজ্জা বা বিব্রত হবেন না। এক্ষেত্রে চেইন অব কমান্ড বিঘ্নিত হচ্ছে না। চেইন অব কমান্ড বিঘ্নিত হলে সেখানে ধ্বংস অবধারিত।
দুইজন ছাত্রকে যদি কোনো মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরে ঢুকিয়ে দেয়া হয় এবং তারা যদি প্রতিদিন সচিব এবং ডিজিকে নির্দেশ দেয়, খবরদারি করে, ক্ষণে ক্ষণে উপদেষ্টাকে বলে দেবে বলে সকলকে ভয় দেখায়, কোনো কাজে যথাযথ ভূমিকা রাখতে না পারে, তবে সেই মন্ত্রণালয়ের চেইন অব কমান্ড কতটা ধ্বংস হতে পারে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বাইরের কেউ একজন সচিব এবং ডিজির রুমে ঢুকে আঙ্গুল তুলে নির্দেশ দিলে তো সচিব ডিজির সেখান থেকে সরে যাওয়া উচিত।
এই দুই ছাত্রকে উপদেষ্টা বা সচিব বা ডিজি করে দিন। কেউ লজ্জা বা বিব্রত হবে না। সরকারি সিস্টেম বহাল থাকবে। বহাল থাকবে চেইন অব কমান্ড।
আর শুধু ছাত্রদের পাঠিয়ে মন্ত্রণালয় চালানো যদি কল্যাণকর মনে করেন, তবে দয়া করে সব মন্ত্রণালয় দপ্তর অধিদপ্তরে সেটাই করুন। প্র্যাকটিস মনে করে সবাই তা মেনে নেবে। আলহামদুলিল্লাহ।
বিপ্লব, গণঅভ্যুত্থান, নতুন বাংলাদেশ কায়েমের পরবর্তী পদক্ষেপ যদি এভাবে কায়েম কল্যাণকর হয়, তবে সর্বক্ষেত্রে তাই করুন। এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই বাংলাদেশে তাই করুন। তবুও আমরা আর পিছনে ফিরে যেতে চাই না।
আমি সরকারি আমলা ছিলাম। কোনো অনিয়ম কখনো সহ্য করিনি। চেইন অব কমান্ড কী জিনিস তা আমি জানি। এটা ভেঙ্গে গেলে কী হতে পারে সেটাও আমি জানি।
বিগত সরকার ভয় দেখাতে পারেনি, মাথা নত করাতে পারেনি। কাজেই এখন সে চেষ্টা করে লাভ নেই। আমাকে খোঁচাবেন না প্লিজ।
কোলের বাচ্চা জীবন দিয়েছে ব্যর্থ হবার জন্য নয়। মব জাস্টিসের জন্য নয়। অথর্বদের স্বর্গ রাজ্য হবার জন্য নয়।
এনএসআই, ডিজিএফআইসহ সকল গোয়েন্দা সংস্থাকে অনুরোধ করব, রেলে খোঁজ নিন, কী চলছে সেখানে। কারা কমিশন আর ব্যবসার জন্য চাপ দিচ্ছে। কারা টেন্ডার ছাড়া প্রাইভেট ট্রেন, ক্যাটারিং সার্ভিস নেয়ার চাপ দিচ্ছে।
বুক চেতিয়ে সাইদ জীবন দেয়নি এজন্য। পানি বিলিয়ে মুগ্ধ জীবন দেয়নি এজন্য। মায়ের কোলে বাচ্চা জীবন দেয়নি এজন্য।
** এই দুই ছাত্র রেলে গত কয়েকমাসে কী ভূমিকা বা কাজ করেছে, রেলের কাছে সেটার তালিকা প্রকাশের দাবী করছি।
একটা বাজে শব্দ বা অপমান করলেই ব্লক। ব্লক করা আমার স্বভাব। এই ব্লক নিয়ে সমালোচনা করলেও ব্লক।
সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব কবীর মিলনের ফেসবুক থেকে নেওয়া
পূর্বকোণ/এএইচ