কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, বিএনপির সংসদে যাওয়ার যৌক্তিক ব্যাখ্যা না দিলে আগামী ৮ জুন যুক্তফ্রন্ট ছেড়ে যাবেন তাঁর দল। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে দলের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করার পর কারও সঙ্গে আলোচনা না করেই সাতজন শপথ নিলেন। এগুলো দলের মধ্যে নানান রকম অসঙ্গতির সৃষ্টি করছে। ঐক্যফ্রন্ট পরিচালনায় দুর্বলতাগুলো মানুষের মনে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। আমরা আজকে সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আগামী এক মাসের মধ্যে যে যে অসঙ্গতি আছে, তা সঠিকভাবে নিরসন করা না হলে ৮ জুন ঐক্যফ্রন্ট থেকে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ যুক্তফ্রন্ট ত্যাগ করবে।’ জোটের অন্যান্য শরিকদের সাথে এ ব্যাপারে বিশদ আলোচনা করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৩ অক্টোবর গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয় । আর ৫ নভেম্বর তাতে যোগ দেয় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ।
ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত ব্যক্তিদের যে সাতজন শপথ নিয়েছেন, তাঁদের নিন্দা জানান কাদের সিদ্দিকী ।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমালোচনা করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, যাঁরা শপথ নিয়েছেন, তাঁরা মীরজাফরের চেয়েও বেশি নিন্দিত হিসেবে বিবেচিত হবেন । নির্বাচনী সহিংসতার শিকার যাঁরা হয়েছেন, তাঁদের পাশে ঐক্যফ্রন্ট সেভাবে দাঁড়াতে পারেনি । এছাড়া গত ৩০ এপ্রিল ফেনীর নুসরাত হত্যার প্রতিবাদে জোটের একটি জমায়েত হওয়ার কথা ছিল, তাও বাতিল হয়।
বিএনপির শপথ নেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘তথাকথিত’ নির্বাচিতরা শপথ নিলেন, কিন্তু বিএনপি মহাসচিব শপথ থেকে বিরত থাকলেন—এসব মানুষকে বিভ্রান্ত করে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের ভোট দিতে হয়নি । স্থানীয় নির্বাচনেও মানুষ তেমন উৎসাহী ছিল না। দেশে মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। ঘুম থেকে উঠলে দুঃসংবাদ ছাড়া সুসংবাদ প্রত্যাশা করা যায় না ।