চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪

উইমেন অব ইন্সপিরেশন অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১০ নারী

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৬ অক্টোবর, ২০২৪ | ১:৩৩ অপরাহ্ণ

জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘উইমেন অব ইন্সপিরেশন অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ঢাকার লে মেরিডিয়ান হোটেলে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।

 

অনুষ্ঠানে  সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে  অসামান্য অবদান রাখায়  ১০ জন বিশিষ্ট নারীকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্ত নারীরা তাদের নেতৃত্বগুণ, লক্ষ্যের প্রতি অসামান্য উৎসর্গ এবং অগণিত মানুষকে তাদের কাজের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করেছেন।

 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে  ঈশিতা শারমিন, উদ্ভাবনীতে আফসানা জারিন, সামাজিক ব্যবসায়  ইতিবাচক পরিবর্তনে নাদিয়া আনোয়ার, আইন পেশার ভূমিকায় ব্যারিস্টার মিতি সানজানা, নারীর ক্ষমতায়নে জেরিন মাহমুদ হোসেন, জবাবদিহিতামূলক সাংবাদিকতায় জাইমা ইসলাম, সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে  সমাজে  ইতিবাচক পরিবর্তনে  এলিটা করিম, প্রথাগত নিয়ম ভেঙ্গে বিনোদন জগতে  তাসনিয়া ফারিণ, জনস্বাস্থ্যে ও  চিকিৎসা ক্ষেত্রে ড. ফেরদৌসী কাদরী এবং সমতা ও বাংলাদেশের উন্নয়নে  অবদান রাখায়ে আজীবন সম্মাননায় ফারাহ কবিরকে সম্মানিত করা হয়।

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এবং বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন,”নারীরা আমাদের সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, এবং তাদের অর্জনকে স্বীকৃতি দেওয়া ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করা অত্যন্ত জরুরি।”

 

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার বলেন, “এই নারীরা নানা বাধা অতিক্রম করে অন্য নারীদের জন্য পথ প্রশস্ত করেছেন। তাদের ত্যাগ তিতিক্ষা ও দৃঢ়তা আমাদের সকলের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।”

 

জেসিআই বাংলাদেশের ২০২৪ সালের জাতীয় সভাপতি ইমরান কাদির সংগঠনের নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, “জেসিআই বাংলাদেশ একটি সমতাপূর্ণ বিশ্ব গড়ার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এবং এই অসাধারণ নারীদের অর্জনকে স্বীকৃতি দেয়া সেই লক্ষ্যেরই অংশ।”

 

অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী।

 

অনুষ্ঠানের পরিচালক ও জেসিআই বাংলাদেশের ২০২৪ সালের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদ বলেন, “নারীদের অবদানের স্বীকৃতি জানানোর এই অনুষ্ঠান বাংলাদেশের নারীদের শক্তি, সহনশীলতা এবং নেতৃত্বের প্রমাণ। তাদের অসাধারণ অবদান উদযাপন করতে পারা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের।”

 

অনুষ্ঠানে জাতীয় পর্ষদের সদস্য,  বিভিন্ন লোকাল চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট ও বিভিন্ন পেশার গণ্যমান্য বাক্তিরা  উপস্থিত ছিলেন।

 

পূর্বকোণ/এমটি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট