চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

ফেনী নদীতে দেবী দুর্গার বিসর্জন

রামগড়-ভারত সীমান্তে পুজার্র্থীর ঢল

নিজস্ব সংবাদদাতা , রামগড়

৯ অক্টোবর, ২০১৯ | ৩:২৬ পূর্বাহ্ণ

খাগড়াছড়ির রামগড় ভারত সীমান্তবর্তী ফেনী নদীতে দু’দেশের হাজারো হিন্দু ধর্মাবলম্বীর অংশগ্রহণে সম্পন্ন হয়েছে দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গার বির্সজন। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় ফেনী নদীতে এ বিসর্জন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়। বিসর্জন অনুষ্ঠানকে ঘিরে ফেনী নদী পরিণত হয় দু’দেশের মানুষের মিলন মেলায়। রামগড় দক্ষিণেশ্বরী কেন্দ্রীয় কালীবাড়িতেই উপজেলার একমাত্র সার্বজনীন দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার বেলা ২টায় কালী

বাড়ি থেকে বিজয়া দশমীর বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। দেবী দুর্গাসহ অন্যান্য প্রতিমা নিয়ে র্যালীটি পৌরসভার জগন্নাতপাড়া, ডেবারপাড়, মাস্টার পাড়া, রামগড় বাজার, আনন্দপাড়া প্রভৃতি এলাকা প্রদক্ষিণ করে। র্যালিতে শত শত সনাতন ধর্মাবলম্বী ত্রিপুরা উপজাতীয় ও বাঙালি হিন্দু নারী, পুরুষ, আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা অংশ নেন। বিজয়া দশমীর এ বর্ণাঢ্য র্যালি শেষে ফেনী নদীর আনন্দপাড়া আবাসিক এলাকা ঘাটে উলু ধ্বনি, ঢাক ঢোল, শঙ্খ বাজিয়ে দেবী দুর্গাসহ একে একে প্রত্যেক প্রতিমাকে নামানো হয় নদীতে। প্রতিমাগুলো কাঁধে নিয়ে নদীর মাঝখানে কয়েকবার ঘোরানো হয়। কোমর পানিতে হাজারো ভক্ত প্রতিমা বিসর্জনের পূর্বে সপ্ত প্রদক্ষিণে অংশ নেন। এসময় সীমান্তের এপার ও ওপারে সাব্রুম অংশে হাজার হাজার নারী পুরুষ নদীর তীরে সমবেত হন দেবী দুর্গাকে বিদায় জানাতে। সীমান্তের ওপার থেকেও উলু ধ্বনি ও শঙ্খ বাজিয়ে দেবী দুর্গার বিসর্জনে অংশ নেন ভারতীয়রা। বিসর্জনের পর নদীতে দু’দেশের হাজারো ভক্ত আনন্দ উল্লাস করে, মেতে উঠে জলকেলীতে। রং মাখামাখি, কাদা ছোঁড়াছুড়ি করে কিশোর কিশোরী, তরুণ তরুণীরা। এক সময় নৌকায় চড়িয়ে দেবী দুর্গার এ বিসর্জন সম্পন্ন করা হত ফেনী নদীতে। আয়োজকরা জানান, এখন নৌকা পাওয়া যায় না। আর শুষ্ক মৌসুমে নদীতে পানিও কমে যায়। তাই বেশ কয়েক বছর ধরে নদীর পাড় থেকেই বিসর্জন দেয়া হয়। তবে এ বছর নদীতে কোমর পানি থাকায় বেশ জাঁকজমকভাবে বিসর্জন অনুষ্ঠান হয়েছে। এ বিসর্জন অনুষ্ঠান ঘিরে নদীর দুই পাড়েই দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী মোতায়েন ছিল।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট