বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে আন্দোলন করছি। সেই আন্দোলনে আমাদের চার নেতা-কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ বাহিনী। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না।

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শোক র‍্যালি পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারকে আর সময় দেওয়া যায় না। অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। আমাদের সহকর্মী ও সহযোদ্ধাদের হত্যার প্রতিবাদে আজকের এই শোক র‍্যালি। তারা জনগণের পক্ষে আন্দোলন করতে গিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে। তবুও আমাদের সংগ্রাম থেমে যায়নি। আমরা প্রতিদিনই রাজপথে আন্দোলন করছি।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে কোনো দুর্নীতির সংবাদ যাতে প্রকাশ না হয় সেজন্য ২৯ প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো ঘোষণা করেছে। এই সরকার ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার করছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করায় একজন নারীকে রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেন তার বিরুদ্ধে কোনো সমালোচনা করা যাবে না?

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- দলের কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমান, মো. আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মীর সরফত আলী সপু, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, শিরিন সুলতানা, নাজিম উদ্দিন আলম, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, রফিকুল আলম মজনু, মো. আমিনুল হক, মৎস্যজীবী দলের মো. আব্দুর রহিম, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আব্দুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, রাজীব আহসান, নাজমুল হাসান, শ্রমিক দলের মো. আনোয়ার হোসাইন, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, ছাত্রদলের রাশেদ ইকবাল খান, আবু আফসান ইয়াহিয়া প্রমুখ।

পূর্বকোণ/এএস/এএইচ