চট্টগ্রাম শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪

চাল-ডাল-পেঁয়াজের মূল্য নির্ধারণ করে দেবে সরকার, বেশি নিলেই মামলা

অনলাইন ডেস্ক

৩০ আগস্ট, ২০২২ | ২:৪৭ অপরাহ্ণ

চাল ও ভোজ্যতেলসহ ৮-৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেবে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। কোন ব্যবসায়ী নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি নিলে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সচিবালয়ে এক সভা শেষে তিনি এসব কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘পণ্যের দাম যেটা বাড়ানো উচিত তার চেয়ে বেশি বাড়ানো হয়েছে। যে কারণে আজ সিদ্ধান্ত হয়েছে, ট্যারিফ কমিশন এখন থেকে এসব পণ্যের যে ন্যায্য দাম হওয়া উচিত। যেভাবে ভোজ্যতেলের দাম আমরা নির্ধারণ করি তেমনিভাবে আইটেমগুলো নিয়ে ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকদের সঙ্গে অথবা যারা আছেন কনসার্ন পিপল সবাইকে নিয়ে যৌক্তিক যেটা সেটা ঠিক করব এবং সেটা ডিক্লারেশন করা হবে, দিস ইজ দ্যা প্রাইস। মার্কেটে এই প্রাইসে বিক্রি হতে হবে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দুটো অরগানাইজেশন আছে ভোক্তা অধিকার এবং প্রতিযোগিতা কমিশন, আমরা সোজাসুজি মামলায় চলে যাব। আইন আছে তিন বছরের জেল বা কোথাও কোথাও তার চেয়ে বেশি জরিমানা, সেই পদক্ষেপ আমরা নিতে যাব। এটা শুরু হবে ইমিডিয়েটলি। আজকে ওনাকে (ট্যারিফ কমিশনের কর্তৃপক্ষ) বলা হয়েছে, সব আইটেমগুলো ১৫ দিনের মধ্যে ক্যালকুলেশন করে এটা বাজারে ডিক্লেয়ার করে দেওয়া হবে, দিস ইজ দ্যা প্রাইস।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের উচ্চমূল্য, আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা সুযোগ নেওয়াসহ সার্বিক ব্যাপারগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সাধারণত আমাদের ট্যারিফ কমিশন ভোজ্যতেল নিয়ে টাইম টু টাইম বসে ঠিক করে। বাড়ানোর দরকার হলে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে বাড়ায়। আবার যখন দাম কমে আন্তর্জাতিক বাজারে এবং বাংলাদেশে তার প্রভাব পড়া উচিত সেক্ষেত্রে কমিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি যে বিভিন্ন আইটেমের দাম বেড়েছে, যেটা গ্রহণযোগ্য নয়। যদিও সবগুলোই আমাদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দেখার কথা ছিল তা কিন্তু নয়। কৃষিপণ্যের ব্যাপারগুলো রয়েছে, চালের ব্যাপার রয়েছে, যেটা খাদ্য মন্ত্রণালয় বা কৃষি মন্ত্রণালয় তারা দেখবে। ডিমের কথা আসছে মাঝখানে। ডিমের কথা আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আনিনি। আমাদের দেখার ব্যাপারও ছিল না। তারপরেও প্রশ্ন আসার পরে আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল, ডিম দরকার হলে আমদানি করব। পরবর্তী পর্যায়ে ডিমের দাম কমেছে।’

 

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যদি আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে আমাদের নির্ভর করতে হয় তাহলে কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারের দাম উঠলে পরে এখানেও দাম বৃদ্ধি পাবে। সেক্ষেত্রে সেটাও কতটুকু বৃদ্ধি পাওয়া উচিত তা ঠিক করে দেওয়া হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে জিনিসের দাম কমেছে। আমরা সয়াবিন তেল ও পামওয়েলের দাম কমতে দেখেছি। কিন্তু পাশাপাশি যেটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক যে ডলারের দাম (রেট) বেড়ে গেছে। যে কারণে এই দুটো হিসেব করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, যে সুফলটা আমরা পেতে পারতাম, আমাদের জনগণ পেতে পারত সেটা পাচ্ছি না। আমরা ক্লোজ মনিটর করে দেখব যে, হোয়াট ইজ দ্যা রাইট প্রাইস, সেটাই আমরা ডিক্লেয়ার করব।’

পূর্বকোণ/এএস/এএইচ

শেয়ার করুন