চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

৩৪ সরকারি কর্মকর্তা ‘বালিশ দুর্নীতি’তে জড়িত: পূর্তমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

২৪ জুলাই, ২০১৯ | ৩:০০ অপরাহ্ণ

‘বালিশ দুর্নীতি’র তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বালিশকাণ্ড দুর্নীতিতে ৩৪ সরকারি কর্মকর্তা ও তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ।

পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে নজিরবিহীন ‘বালিশ দুর্নীতি’র ঘটনায় ৩৪ কর্মকর্তাকে দায়ী করে এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ওই ঘটনায় দুটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল।  দুটি কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনায় আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে যে, ৩৪ কর্মকর্তা বা ব্যক্তি এ ঘটনায় নানা অনিয়ম এবং দু্র্নীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। এ ছাড়া তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানও জড়িত।

মন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মকর্তার মধ্যে চার কর্মকর্তা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের। তাদের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবেন, আমরা সেই মন্ত্রণালয়কে লিখেছি।

নিজের মন্ত্রণায়লের লোকজনও এ ঘটনায় জড়িত জানিয়ে শ ম রেজাউল করিম বলেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত দপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে অভিযুক্ত কয়েকজন ইতোমধ্যে এলপিআর (অবসরোত্তর ছুটি) বা অবসরে গেছেন। একজন অবসরে আর তিনজন পিআরএলে আছেন। তাদের ক্ষেত্রে ভিন্ন আইনিব্যবস্থা হবে। যেহেতু তারা দায়িত্বে নেই। এ জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট বিভাগকে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছি।

এই দুর্নীতিতে জড়িতদের বরখাস্ত করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যারা চাকরিতে আছেন, গুরুতর অভিযোগের কারণে তাদের ১৬ জনকে সাময়িক বরখাস্তসহ বিভাগীয় মামলা রুজুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। অপর ১০ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিভাগীয় মামলার পর তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত দেশের অন্যতম মেগাপ্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য নির্মিত গ্রিন সিটিতে আসবাব ও অন্যান্য জিনিসপত্র ক্রয়ে লাগামছাড়া দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করে। একটি বালিশের পেছনে ব্যয় দেখানো হয়েছে ৬ হাজার ৭১৭ টাকা। এর মধ্যে এর দাম বাবদ ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা আর সেই বালিশ নিচ থেকে ফ্ল্যাটে ওঠাতে খরচ ৭৬০ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে।

এই কেলেঙ্কারি ‘বালিশ দুর্নীতি’ হিসেবে আলোচিত হওয়ার পরে একজন অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

পূর্বকোণ/পলাশ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট