চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

বিয়ে করেও অস্বীকার, ভ্রূণ হত্যার অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক

১৭ অক্টোবর, ২০২১ | ৯:১৫ অপরাহ্ণ

রাজশাহীতে এক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে ভ্রূণ হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, নারীকে ধর্ষণ, পরে পরকীয়া করে বিয়ে, সংসার এবং সবই অস্বীকার করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

এ নিয়ে ভুক্তভোগী নারী আদালতে মামলা করেছেন। বর্তমানে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মামলাটি তদন্ত করছে।

অভিযুক্ত ওই ছাত্রদল নেতার নাম শাহীন সরকার রঞ্জু। তিনি রাজশাহীর তানোর পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক।

রবিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে ভুক্তভোগী নারী রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরইউজে) কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে শাহীন সরকারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলে ধরেন। তিনি তার বিচার দাবি করেন।

লিখিত বক্তব্যে ওই নারী বলেন, স্বামী আর দুই সন্তানের সঙ্গে তিনি তানোর পৌর এলাকায় শাহীন সরকারের বাড়ির পাশে ভাড়া থাকতেন। শাহীন তাকে প্রায়ই প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। তিনি এড়িয়ে যেতেন। বছরখানেক আগে একদিন ফাঁকা বাড়িতে কৌশলে ডেকে তাকে ধর্ষণ করে শাহীন সরকার। লোকলজ্জায় তিনি বিষয়টি কাউকে বলতে পারেননি। এ ঘটনার পর শাহীন তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে সব সময় যোগাযোগ করতেন। একপর্যায়ে তাদের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

এরই মধ্যে একদিন ওই নারীর স্বামী শাহীন সরকারের সঙ্গে কথা বলতে দেখে তাকে মারধর করেন। শাহীন সরকার তখন ওই নারীকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেন। বাধ্য করেন স্বামীকে তালাক দিতে। এরপর তিনি ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে রাত কাটাতেন। কিছুদিনের মধ্যেই অন্তঃসত্ত্বা হন ওই নারী। তারপরও তিনি বিয়ে করছিলেন না। ওই নারী বিয়ের জন্য চাপ দিলেও নানা অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করছিলেন শাহীন।

গত জুনে ওই নারীর জ্বর হয়। তখন জ্বরের চিকিৎসার নামে বাড়িতে একজন গ্রাম্য চিকিৎসক নিয়ে যান শাহীন। ওই চিকিৎসক তাকে ভ্রূণ নষ্ট করার ওষুধ দেন। পরবর্তীতে বাচ্চাটি নষ্ট হয়ে যায়। তবে এর আগেই আদালতে গিয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে ওই নারীকে বিয়ে করেন শাহীন সরকার, কিন্তু বিয়ের রেজিস্ট্রি করেননি।

তিনি জানান, বিয়ের পর পৌর এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে তাকে নিয়ে ওঠেন শাহীন সরকার। দুই মাস সংসার করার পর তিনি বিয়ে রেজিস্ট্রি করার জন্য শাহীনকে চাপ দেন। তখন শাহীন বলেন- এখন লকডাউন চলছে। রেজিস্ট্রি হবে না। লকডাউন শেষে ওই নারী আবার চাপ দিলে বিয়ের কথা অস্বীকার করেন শাহীন। বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন ওই নারীকে। বাধ্য হয়ে তিনি আদালতে মামলা করেন।

ভুক্তভোগী নারী বলেন, শাহীন সরকার আমার সংসার ভেঙেছে। আমার জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছে। আমার বাচ্চা নষ্ট করেছে। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রদল নেতা শাহীন সরকার রঞ্জু বলেন, সব মিথ্যা। আমি একটা ভালো ছেলে। আমাকে ফাঁসিয়েছে। বিয়ের যে এফিডেভিট দেখাচ্ছে সেটাও ভুয়া।

পূর্বকোণ/মামুন/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট