চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

স্বাধীনতা সংগ্রামের রূপরেখা ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩ মার্চ, ২০২১ | ১২:৩২ অপরাহ্ণ

আজ ৩ মার্চ। একাত্তরের ৩ মার্চ ছিল রক্তঝরা দিন। বিক্ষোভে উত্তাল ৩ মার্চ পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় ছাত্রলীগের বিশাল জনসমাবেশ। এই সমাবেশ থেকেই স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অহিংস অসহযোগ আন্দোলন ও লাগাতার হরতালের ডাক দেন। সামরিক আইন প্রত্যাহার করে জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানান তিনি। সব দাবি মেনে নিতে সামরিক জান্তাকে ৭ মার্চ পর্যন্ত সময় দিয়ে তিনি ঘোষণা দেন। ৬ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৫টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হরতাল পালন করা হবে। ওই সমাবেশ থেকেই বঙ্গবন্ধু রমনার রেসকোর্স ময়দানে ৭ মার্চ জনসভার ঘোষণা দেন। এদিন ঘোষিত হয় স্বাধীনতা সংগ্রামের রূপরেখা। পাঠ করা হয় স্বাধীনতার ইশতেহার। বঙ্গবন্ধুকে বাংলার স্বাধিকার আন্দোলনের সর্বাধিনায়ক মনোনীত করা হয় আজকের এ দিনেই।

স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত পল্টনের বিশাল সমাবেশ থেকে আসা এ ঘোষণার পরপরই ৭১-এর এ দিনে রাজধানী ঢাকা হয়ে ওঠে প্রতিরোধ আর সংগ্রামের নগরী।

পল্টন ময়দানের ওই সভায় স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা শাহজাহান সিরাজ। ইশতেহারে বলা হয়, দেশের প্রতিটি গ্রাম, মহল্লা থানা, মহকুমা শহর ও জেলায় ‘স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করতে হবে। গ্রামে গ্রামে এলাকায় এলাকায় গঠন করতে হবে মুক্তিবাহিনী। এই ইশতেহার পাঠের মধ্যদিয়েই স্বাধীনতার ঘোষণা, সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের আহ্বান, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীতের অনুমোদনসহ স্বাধীনতার পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি ঘোষণা করে উপস্থিত লাখ লাখ মানুষের অনুমোদন নেয়া হয়।

স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা ছাত্রলীগের সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে সমাবেশে ডাকসুর ভিপি আ স ম আবদুর রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কুদ্দুস মাখনসহ জাতীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট