গ্লোব বায়োটেকের তৈরি করোনার টিকা বঙ্গভ্যাক্সের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদে (বিএমআরসি) আবেদন জমা দিয়েছে সিআরও লিমিটেড। রবিবার (১৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় গ্লোব বায়োটেকের পক্ষে সিআরও লিমিটেড বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদে (বিএমআরসি) এ আবেদন জমা দেওয়া হয়।
গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদসহ গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের কর্মকর্তারা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএমআরসিতে ইথিক্যাল ক্লিয়ারেন্সের আবেদন জমা দিতে আসেন। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার পৃষ্ঠার এই আবেদন জমা দেন তারা। বিএমআরসির একজন সহকারী পরিচালক এই আবেদন গ্রহণ করেন। মানবদেহে বঙ্গভ্যাক্সের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের এই গবেষণায় কাজ করবেন ৫৭ জনের একটি দল।
এ দলের প্রধান ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নিল জানান, আবেদনে একসঙ্গে প্রথম ও দ্বিতীয় ট্রায়ালের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। অনুমোদন পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যেই ট্রায়াল শুরু করা হবে। শতাধিক সেচ্ছাসেবকের ওপর এ টিকা প্রয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সিআরও লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি গ্লোব বায়োটেকের হয়ে টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের কাজটি করবে। এই ট্রায়াল হবে একটি সরকারি হাসপাতালের একটি ইউনিটে। অনুমোদন পাওয়ার পর সেই হাসপাতালের নাম প্রকাশ করা হবে।
এর আগে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডকে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনের অনুমতি দেওয়া হয়। সারা বিশ্বে যেসব টিকা তৈরির কাজ হচ্ছে সেগুলো পর্যবেক্ষণ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর মধ্যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে আছে এমন ৪২টি টিকার একটি তালিকা এবং ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আগের অবস্থায় (প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল) থাকা ১৫৬টি টিকার আরেকটি তালিকা রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। ওই তালিকায় গ্লোব বায়োটেকের টিকার নাম উঠেছে।
পূর্বকোণ/পিআর