চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

মানব উন্নয়ন সূচকে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক

২১ ডিসেম্বর, ২০২০ | ৪:৪৪ অপরাহ্ণ

মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ ৬০ দশমিক ৪ ভাগ অর্থাৎ দুই ধাপ এগিয়েছে। ১৮৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৩৩তম। যা আগের বছর ছিল ১৩৫তম।

সোমবার (২১ ডিসেম্বর) নগরীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) ‘মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন ২০২০’ ‘দ্য নেক্সট ফ্রন্টিয়ার: হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট এন্ড এনথ্রোপোসিন’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ আরও দুই ধাপ এগিয়েছে। বর্তমানে এ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৩তম। ৮টি দক্ষিণ এশীয় দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। তবে পরিবেশের প্রভাবজনিত সমন্বিত মানব উন্নয়ন সূচকে আরও ৯ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘ইউএনডিপি প্রতি বছর এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সার্বিকভাবে মোটাদাগে আমরা ভালো করেছি। তবে এটা নিয়ে কিছু মানুষের সংশয় থাকলেও তা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। আরও উন্নয়নের খাত রয়েছে। গত ১০-১২ বছর দেশ পরিচালনা করছেন প্রধানমন্ত্রী। তার অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন হয়েছে। গত ১২ বছরে তার কৌশলে দেশ সোনার বাংলায় পরিণত হচ্ছে। ’

যে দেশ পূর্ণসংখ্যা ১ এর যত কাছাকাছি, সে দেশ মানব উন্নয়ন সূচকে তত উন্নত। ১৯৯০ সাল থেকে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে ইউএনডিপি।

প্রতিবেদনে  বলা হয়, মানব উন্নয়নে বাংলাদেশের অর্জন অসাধারণ। ১৯৯০ হতে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৩০ বছরে মানব উন্নয়ন সূচক শতকরা ৬০ দশমিক ৪ ভাগ বেড়েছে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের সূচকের মান মধ্যম সারির দেশগুলোর গড় মানের চেয়ে বেশি ছিল।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখানো হয়, বাংলাদেশ মানব উন্নয়ন সূচকে গত কয়েক বছর ধরে দুই থেকে তিন ধাপ করে এগোচ্ছে। ২০১৬ সালে ১৩৯তম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। গত বছর এক ধাপ এবং তার আগের বছর তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ।

ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি বলেন, ‘বাংলাদেশে কোভিড-১৯ অতিমারিতে এখন পর্যন্ত ৭ হাজারের বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করলেও প্রাণহানির পাশাপাশি অতিমারিজনিত সামগ্রিক প্রভাব আরও অনেক বিস্তৃত ও প্রকট। বহু পরিবার জীবিকা হারিয়ে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে, আয় অসমতা বেড়েছে এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা বেড়েছে এবং লেখাপড়া থেকে দীর্ঘ বিরতির কারণে ছাত্রছাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ার আশঙ্কা বেড়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রকৃতি ও পরিবেশের ওপর মানুষের বিরূপ আচরণকে আমলে নিয়ে বিজ্ঞানীরা অনেক দিন ধরেই এরকম একটি অতিমারির আশঙ্কা করছিলেন। এ সমীক্ষাটি আমাদের দেখিয়েছে যে পরিবেশ সম্মত উপায়ে উন্নয়ন পরিচালনা করা অর্থ মানুষ বা প্রকৃতির মধ্যে যে কোনো একটি বেছে নেওয়া নয়, বরং একটি সমন্বিত কৌশল অবলম্বন করা। ’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউএনডিপির কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেভি সুদীপ্ত মুর্খাজ্জী, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড.শামসুল আলম।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট