ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় প্রধান অভিযুক্ত বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। একইসাথে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সংগঠনটি। সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আজ বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
তিন সদস্য বিশিষ্টি তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি বিন ইয়ামিন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক তারেক রহমান ও রাফিয়া সুলতানা। তদন্ত কমিটিকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় পরিষদকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ সবসময়ই ছাত্র তথা গণমানুষের যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায়ে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। নারীর প্রতি বৈষম্য, নারী নিপীড়ন ও নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ছাত্র অধিকার সব সময়ই সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছে। তাই সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সমস্যা নিরূপণে এবং সুষ্ঠু ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে বাংলদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হল।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ও সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর লালবাগ ও কোতোয়ালী থানায় ধর্ষণ, অপহরণ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ছাত্র অধিকার পরিষদের ৬ নেতার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। ধর্ষণের মামলায় হাসান আল মাসুনকে প্রধান আসামি করে ডাকসু’র সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরসহ মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান, সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা ও মো. আবদুল্লাহ হিল বাকী।
পূর্বকোণ/আরপি