শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রতি আকর্ষণ এবং এর চর্চা সংগীত জগতকে যুগে যুগে সমৃদ্ধ করেছে। ২০১৭ সালে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদকপ্রাপ্তির পর দেরিতে হলেও নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের উদ্যোগে প্রখাত বংশীবাদক ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম এর একক বংশীবাদন অনুষ্ঠান গত ২৯ নভেম্বর, ২০১৯ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়। আইইবি, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মোহাম্মদ রফিকুল আলম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরিন আখতার।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইইবি, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের এডমিন, প্রফেশনাল অ্যান্ড এসডব্লিও এর ভাইস-চেয়ারম্যান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার দে।

আইইবি, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সম্মানী সম্পাদক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিকের পরিচালনা ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খান, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. সরোজ কান্তি সিংহ হাজারী, চিটাগং ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের জেনারেল সেক্রেটারী ডা. আঞ্জুমান আরা ইসলাম, স্থপতি জেরিনা খান, নগর পরিকল্পণাবিদ প্রকৌশলী সুভাষ বড়–য়া, স্থপতি সোহেল শাকুর, নজরুল সংগীতজ্ঞ প্রফেসর হাসিনা জাকারিয়া বেলা, কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহিত উল আলম, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফজলুল্লাহ, লায়ন এম সামসুল হক, ইঞ্জিনিয়ার জ স ম বখতিয়ার, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হারুন, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নাসির, ইঞ্জিনিয়ার এনামুল বাকী, ইঞ্জিনিয়ার মোজাহের হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার এম. নাসিরুল হক, চট্টগ্রাম ওয়াসার বাণিজ্যিক মহাব্যবস্থাপক ড. পীযুষ দত্ত, মেরিন একাডেমির কমান্ডেন্ট ড. সাজিদ হোসেন, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, চট্টগ্রাম এর উপ পরিচালক নার্গিস সুলতানা, ছড়াকার সংগঠক গবেষক আ.ফ.ম. মোদাচ্ছের আলী প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলো সরকারী-বেসরকারী কলেজের অধ্যাপক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ নগরীর সর্বস্থরের সংস্কৃতি প্রেমিক মানুষ। উপমহাদেশের কিংবদন্তি তবলাবাদক প-িত সমর সাহার তবলার তালের চমৎকারিত্বে ওস্তাদ আজিজুল ইসলামের বাঁশির মোহনীয় সুরের ঝংকারে বিমোহিত উপস্থিত হাজার শ্রোতার করতালিতে নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন এর অডিটোরিয়াম হল ছিলো বিপুল সংখ্যক শিল্পী, সংগীতবোদ্ধা ও সংগীত প্রিয় সমঝদার শ্রোতাম-লীর উপস্থিতিতে মুখরিত। ধ্রুপদী বাঁশী শিল্পী তাঁর সুরের ইন্দ্রজাল বিস্তার করে রাগ-হংস ধ্বনি ও চন্দ্রকোষ বাজানোর অব্যবহিত পর ঝিঞ্ঝটি রাগে ভাটিয়ালি ধুনে বাঁশিতে অপূর্ব সুরের ছোঁয়ায় উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করে।

প্রকৃতপক্ষে, এভাবেই স্বর্গীয় পীযূষ ধারায় বাঁশীর সুরের যে সমাপনী তান তার আশ্চর্য মোহন বাঁশীর রেশ রেখে শেষ করার মধ্য দিয়ে সংগীতপ্রেমীদের মনে বিদ্যুৎ চোম্বকীয় আবেশ তৈরি করে। অদূর ভবিষ্যতে তা উদীয়মান শিল্পীদের জন্য অবিরাম অনুপ্রেরণা যোগাবে ও নান্দনিক শিল্পকলার চর্চাকে করবে উচ্চকিত। সভাপতির সমাপনী বক্তব্য প্রদান ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি), চট্টগ্রাম কেন্দ্রের একাডেমিক এন্ড এইচআরডির ভাইস- চেয়ারম্যান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন।