চট্টগ্রাম সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪

টিআইসিতে শিল্পী সুহৃদ সংঘের পঞ্চ শিল্পীর সুরের মুন্সিয়ানা

যীশু সেন

২১ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৩:৫৭ পূর্বাহ্ণ

বাঙালি সংস্কৃতিক শেকড় সন্ধান ও ধারণ করার প্রত্যয় নিয়ে ২০১৭ সালে শিল্পী সুহৃদ সংঘ বাংলাদেশ এর পথচলা। সগৌরবে অতীতে দুটি অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছে। এবারও উদীয়মান শিল্পীদের নিয়ে তৃতীয় বারের মত মনোজ্ঞ সংগীতানুষ্ঠান গত ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউটে চট্টগ্রামের শিল্পী সুহৃদ সংঘের তয় প্রযোজনা ছিল পাঁচ জন নবীন শিল্পীদের সংগীত পরিবেশনা ও গুণী কথামালা। বাংলাদেশ টিভি ও বেতারের উপস্থাপক বরেণ্য বাচিক শিল্পী দিলরুবা খানম-এর সঞ্চালনায় উদ্বোধক ছিলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ৩৬ নং গোসাইলডাঙ্গা নিমতলা ওয়াডের্র কাউন্সিলর লায়ন হাজী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার নিতাই কুমার ভট্টাচার্য্য, সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী চন্দন দাশ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের কো-চেয়ারম্যান প্রকৌশলী প্রকাশ ঘোষ, স্বাগত বক্তব্য রাখেন, কাপ্তাই প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের আহবায়ক সাংস্কৃতিক ব্যক্তি ঝুলন দত্ত, বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব রানা বড়ুয়া প্রমুখ।

দুই গুণীশিল্পী গুণীজনে সংবর্ধিত হল বাংলাদেশ সদারঙ্গ উচ্চাঙ্গ সংগীত পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প-িত স্বর্ণময় চক্রবর্তী ও টিভি ও বেতারের নজরুল ও উচ্চাঙ্গসংগীতের শিল্পী রাজেশ সাহা। পঞ্চ শিল্পীদের জীবনী পাঠ করেন আনন্দ প্রকৃতি, ডা. সুপণ বিশ্বাস, খোদেজা আক্তার ভাষা ও তিশা দেওয়ান।
গুণী কথামালা শেষে শুরু হয় সংগীতানুষ্ঠান। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কলকাতা থেকে শাস্ত্রীয় সংগীতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন শিল্পী নরেন চক্রবর্তী উচ্চাঙ্গ সংগীত পরিবেশন করেন। শিল্পীকে হারমোনিয়ামে সহযোগিতা করেন শিল্পী রাজেশ সাহা, তবলায় ছিলেন তবলাশিল্পী সুদীপ সেনগুপ্ত ও তানপুরায় শিল্পী তপু বড়–য়া।

বাংলাদেশ বেতার রাঙ্গামাটি কেন্দ্রের রবীন্দ্র, নজরুল ও পল্লিগীতি বিষয়ে তালিকাভুক্ত শিল্পী ফুলকি বড়–য়া পরিবেশন করেন সংগীতস্রষ্টা রবি ঠাকুরের রবীন্দ্র সংগীত। বাংলাদেশ বেতার রাঙ্গামাটি কেন্দ্রের নজরুল সংগীত বিষয় শিল্পী মিলন ধর পরিবেশন করেন নজরুল গীতি ‘(আমার) আনন্দিনী উমা আজো এলো না তার মায়ের কাছে, হে গিরিরাজ’,‘গগনে সঘন চমকিছে দামিনী, মেঘ-ঘন-রস রিমঝিম বরষে’। অনেকে মনে করেন নজরুল সংগীত চর্চা এখনো অনেকটা শহর কেন্দ্রীক কিন্তু শিল্পী মিলন ধরের সুরেলা কণ্ঠে জানিয়ে দিল রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায়ও নজরুল সংগীতে চর্চা হয়।

২০১০ সালে লোক সংগীতে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত ও বেতার শিল্পী রওশন শরীফ তানি পরিবেশন করেন আধুনিক গান।
বাংলাদেশ ভারত বিশ্বমৈত্রী শিল্পী সংগঠন “বিশ্বভরা প্রাণ”-এর সহ-সাধারণ সম্পাদক ও বিটিভির শিল্পী তামান্না ইসলাম পরিবেশন করেন লালন ফকিরের গান। যন্ত্র সংগীতে ছিলেন, কি-বোর্ডে নিখিলেশ বড়–য়া, অক্টোপ্যাডে রণি চৌধুরী, তবলায় প্রীতম আচার্য্য, বাঁশীতে প্রাণেশ্বর ভট্টাচার্য্য, লিড গীটারে মোহাম্মদ আসিফুল আলম ও বেজ গীটারে তন্ময় বড়–য়া। উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ, যন্ত্র শিল্পী ও কণ্ঠ শিল্পীকে ফুল, সম্মাননা স্মারক ও উত্তরীয় দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়। সমগ্র সংগীত পরিচালনায় শিল্পী রাজেশ সাহা।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট