এক.
“শহুরে কাক”
বাতায়ন খোলা।
কান পেতে রই,
শুনি শহুরে পাখির কলতান।
এই হিলে শুধু আমরা থাকি না,
থাকে কালো কাক, কোকিল, পেঁচা, টুনটুনি, চড়ুই।
কাঠবিড়ালি, মদনটেক।
আরো অনেকে।
একটি কাক এসে বসে কিচেনের রেলিং ধরে।
ডাকে, ডেকে যায়।
আমার ছেলে ফলো করে তাকে,
তার স্বর অনুকরণ করে,
সে চলে গেলে তার স্বরে কাঁদে।
এটা শুধু দুপুরে ঘটে তা নয়।
আযান ফজরে শুরু, সাঁঝনামা আযান অবধি চলে।
মাঝখানে এক দলা ভাত ছিঁটাই আমি ছুটির বারে।
কাকটা এসে নিয়ে যায়।
খেতে দেখি না কখনো,
ঠোঁটে করে নিয়ে যায় সে।
হয়তো আকিলিসের মতো তাদের ও কেউ আছে।
দুই.
“কে?”
মতে, না অমতে?
ঠিক বলতে পারি কেমতে?
একদিন জন্মেছিলাম ধূলির এই ধরাতে।
কোনদিন শিখিনি কারাতে,
বাস করি যে জীবন কারা- তে।
কেন এসেছিলাম?
মেলেনা উত্তর।
এখানে কেন, অন্যখানে কেন নয়?
অত সহজ নয় পাওয়া উত্তর।
যে নাম লিখি কাগজে,
যে জিনিস ধরি মগজে,
যে আদর্শ করি লালন বুকে,
থাকি না কারো গুড বুকে।
আমি কেই বা?
মা- ও জানে না।
বাবা কিছুই বলে না।
আসলে কি হতে চেয়েছিলেম?
কোথায় যেতে চেয়েছিলেম?
এলাম কোথায়?
মিলে না উত্তর।
মনরে তাই কহি যে,
কি আসে যায় কাগজে।
প্রভাষক, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়।