ইউরোপের দেশ ক্রোয়েশিয়ার মধ্যাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৭ জন নিহত এবং ২০ জনের বেশি লোক আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার ৬ দশমিক ৪ মাত্রার এ ভূমিকম্পটি প্রতিবেশী বেশ কয়েকটি দেশেও অনুভূত হয়েছে বলে কর্মকর্তা ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন।
উদ্ধারকর্মীরা মধ্যাঞ্চলীয় পেত্রেইনিয়া ও অন্যান্য শহরে ভেঙে পড়া বাড়িঘরের ধ্বংসস্তুপ থেকে মানুষজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন । উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য সেখানে সেনাও পাঠানো হয়েছে।
ভূমিকম্পটি ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগরেবসহ প্রতিবেশী বসনিয়া, সার্বিয়া ও আরও দূরে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায়ও অনুভূত হয়েছে। সতর্কতা হিসেবে স্লোভেনিয়া তাদের একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে।
এই নিয়ে দুই দিনের মধ্যে ওই এলাকায় দ্বিতীয়বারের মতো ভূমিকম্প হল।
জিএফজেড জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস জানিয়েছে, ১১১৯ জিএমটিতে জাগরেবের ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণের পেত্রেইনিয়া শহরে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত গ্লিনা শহর পরিদর্শনকালে ক্রোয়েশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী টোমো মেদভেদ বলেছেন, “এখন পর্যন্ত গ্লিনা শহরে পাঁচটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পেত্রেইনিয়ায় ১২ বছরের এক বালিকাসহ মোট ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে।”
পরে দমকল কর্মীদের উদ্ধৃতি দিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা হিনার প্রতিবেদনে জাজিনা গ্রামের একটি গির্জার ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আরেক জনের লাশ পাওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ভূমিকম্পে অন্তত ২০ জন সামান্য আঘাত পেয়েছেন এবং আরও ছয় জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
ক্রোয়েশিয়ার মাউন্টেন সার্ভিস জানায়, প্রশিক্ষিত কুকুর কাজে লাগিয়ে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ছয়জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। একই এলাকায় সোমবার রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে পেত্রিঞ্জা শহরে বিল্ডিং ধসে পড়ে।
পূর্বকোণ/পিআর