চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রে নতুন সাইবার নিরাপত্তা কৌশল প্রকাশ

অনলাইন ডেস্ক

৬ মার্চ, ২০২৩ | ৯:১৪ অপরাহ্ণ

বিশ্বে প্রতিনিয়ত সাইবার হামলা বাড়ছে। ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অনেকগুলো আক্রমণের ঘটনা ঘটে। এতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অনেক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্যও চুরি হয়েছে। নতুন বছরেও সাইবার হামলা হচ্ছে। এ ধরনের ঘটনা থেকে দেশের অধিবাসীদের সুরক্ষিত রাখতে ও নিরাপদ অনলাইন প্লাটফর্ম তৈরিতে নতুন সাইবার নিরাপত্তা কৌশল প্রকাশ করেছে বাইডেন প্রশাসন। খবর টেকটাইমস।

 

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে চীন, রাশিয়া, ইরান ও উত্তর কোরিয়া প্রযুক্তির অপব্যবহার করছে। আর এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলার বিষয়টি নথিতে উপস্থাপন করা হয়েছে। সাইবার হামলায় আক্রমণকারীদের ক্রমবর্ধমান হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে ৩৯ পৃষ্ঠার কৌশলপত্রে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রে আরো সমন্বিতভাবে সবার ইচ্ছায় পরিপূর্ণ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

 

নতুন কৌশলের মাধ্যমে বাইডেন প্রশাসন ভোট ব্যবসা, ব্যক্তি ও স্থানীয় সরকারকে আশ্বস্ত করতে চায় যে সাইবার নিরাপত্তা চেইনে তারা দুর্বল অবস্থানে নেই। যেসব প্রতিষ্ঠান সাইবার আক্রমণ প্রতিহত করতে ও ক্ষতি কমাতে সক্ষম তাদের আরো দায়িত্বশীল করে তোলার জন্যই এ সাইবার নিরাপত্তা কৌশল প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গিজমোদোর তথ্যানুযায়ী, নতুন পণ্য তৈরির সময় সিলিকন ভ্যালির প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো যেন ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা বিষয় প্রাধান্য দেয় সে লক্ষ্যেই নতুন কৌশল প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়া সাইবারস্পেসে ভূমিকা, দায়িত্ব এবং সংস্থানগুলোকে পুনর্গঠনেও কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্মিলিত সাইবার নিরাপত্তা প্রচেষ্টার মাধ্যমে আরো নিরাপদ ও স্থিতিস্থাপক ডিজিটাল ভবিষ্যৎ তৈরিতে বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটি। এছাড়া দেশটির সরকার তাৎক্ষণিক কোনো হামলা প্রতিহতের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতে কাজ করছে।

 

সাইবার নিরাপত্তার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার জাতীয় নিরাপত্তা, জননিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি রক্ষায় একটি বিস্তৃত ও সমন্বিত পন্থা অবলম্বন করছে। এছাড়া সাইবার নিরাপত্তায় দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি বর্তমানের জরুরি হুমকি মোকাবেলায় কাজ করছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

 

২০২২ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি সতর্কবার্তা দেয়। সেখানে বলা হয়, ন্যাটোর পদক্ষেপের কারণে দীর্ঘমেয়াদে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ার বিষয় যদি রাশিয়া জানতে পারে তাহলে যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার আক্রমণ বাড়বে। রাজ্য ও স্থানীয় সরকারের পাশাপাশি যেসব প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো দেখভাল করে তাদের ওপর আক্রমণ বাড়বে।

 

গুরুত্বপূর্ণ এসব খাতে হুমকির প্রতিক্রিয়া হিসেবে বাইডেন প্রশাসন ন্যূনতম সাইবার নিরাপত্তা প্রয়োজনীয়তাগুলোর ব্যবহার প্রসারিত করছে। প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলো রক্ষায় পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারত্বকে উৎসাহিত করছে এবং তাদের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ানোর জন্য ফেডারেল নেটওয়ার্ক উন্নত করছে। এসব উদ্যোগের মাধ্যমে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও প্রয়োজনীয় পরিষেবায় আস্থা তৈরি করাই মূল লক্ষ্য। কেননা এগুলো জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

 

সাইবার স্পেসে যুক্তরাষ্ট্র এখন উল্লেখযোগ্য হারে হ্যাকিং ও আক্রমণের শিকার হচ্ছে। র‍্যানসমওয়্যার আক্রমণ নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। আর এসব আক্রমণের প্রধান লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে প্রচলিত কোনো পাবলিক প্রতিষ্ঠান। এ ধরনের আক্রমণ প্রতিহতে দেশটির সরকার সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র

সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটি দেশের সাইবার অবকাঠামোর পাশাপাশি হ্যাকারদের হাত থেকে নাগরিকের সংবেদনশীল তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিতের বিষয়টিকে নির্দেশ করে।

 

২০২২ সালের মার্চে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর আহ্বান জানান। এর পেছনে রাশিয়া থেকে সাইবার আক্রমণ বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। তথ্যসূত্র: বণিক বার্তা

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট