চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

‘যেকোন মুহূর্তে বন্ধ হতে পারে স্মার্টফোন উৎপাদন’

অনলাইন ডেস্ক

২৫ জুলাই, ২০২১ | ৯:৩৮ অপরাহ্ণ

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই দেখা দেয় চিপ সংকট। বিশ্বব্যাপী সেমিকন্ডাক্টর ঘাটতি আগামী বছরের শেষ নাগাদ স্থায়ী হতে পারে বলে ধারণা করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা। বর্তমানে সেমিকন্ডাক্টর ঘাটতির কারণে বিভিন্ন অটোমোবাইল কোম্পানির কার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। চিপ স্বল্পতার কারণে স্মার্টফোন উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশংকা করা হচ্ছে।

চীন এ সংকট পূরণে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়েছে। তাইওয়ানের উৎপাদন সংকটের ঘাটতি পূরণে এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে চীন। চলতি সপ্তাহে গ্লোবাল মার্কেট ফোরামে ডাচ ব্যাংকিং কর্পোরেশন আইএনজির বৃহত্তর চীনের প্রধান অর্থনীতিবিদ ইরিশ পেং এমনটা জানান।

তিনি জানান, তাইওয়ানের সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানিগুলো চীনে তাদের কারখানায় সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে। কোভিডের কারণে তাইওয়ানের কারখানাগুলোতে উৎপাদন ও কার্যক্রম মারাত্মক মাত্রায় ব্যাহত হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিগুলো।

ইরিশ পেং বলেন, তাইওয়ানের সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানিগুলো বর্তমানে গাড়ির জন্য চিপ উপাদন করছে। ফলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই গাড়ির জন্য চিপ সংকট কেটে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

চিপের এ সংকটকে প্রযুক্তিবিদরা আরেক মহামারি বলছেন। এরই মধ্যে কোম্পানিগুলো বৈশ্বিক শিল্পবাজারে ভবিষ্যৎ চিপ সংকটের ব্যাপারে সতর্কবার্তা জারি করেছে। বিশ্বের অন্যতম সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এএসএমএল চলতি সপ্তাহে তাদের বিক্রয় বৃদ্ধি করেছে। চিপ জায়ান্ট টিএসএমসি ও ইনটেলের ক্রয় আদেশের ভিত্তিতে তারা এ বিক্রয় প্রবৃদ্ধি অর্জন করে।

সেমিকন্ডাক্টরের প্রতিষ্ঠাতা আদম খান জানান, বৃহৎ আকারে সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহ ঘাটতি ২০২২ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত চলমান থাকতে পারে। তবে এ সময়সীমা আমাদের জন্য একটি ধারণা মাত্র।

এ ছাড়া পূর্বপ্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও খোদ মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল চিপ সংকটের শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে।

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট