চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বা আইবিএস-এর মোকাবিলা

মরিয়ম বেগম

২৪ অক্টোবর, ২০১৯ | ১:২৪ পূর্বাহ্ণ

বাঙালির আজন্ম ঝাল-ঝোল-অম্বলের খাদ্যাভ্যাসকে দায়ী করা হলেও বাওয়েল মুভমেন্টের সমস্যা কিন্তু শুধু বাঙালির নয়। এমনকি এই রোগ শুধু মাত্র বিশেষ কোনও বয়সের পরেও শুরু হয় না। খুঁজলেই দেখা যাবে যে, আইবিএস বা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের শিকার অনেকেই। পাশাপাশি রয়েছে এটি নিয়ে নানা ভ্রান্ত ধারণাও।

(গত সংখ্যার পর)
সমাধান সূত্র

চিকিৎসকদের মতে, বিশেষ কোনও

চিকিৎসা আইবিএসের হয় না। বরং স্ট্রেসের গোড়া নির্মূল করা বা রিলিফ করার বন্দোবস্ত করা দরকার। কী কারণে, কখন রোগীর স্ট্রেস বাড়ে, সেটা আগে নির্ণয় করতে হয়। কারণ সাইকোলজিক্যাল সমস্যা দূর করলে আইবিএসকেও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। প্রয়োজনে কাউন্সেলিং, ওষুধপত্রও দিতে হতে পারে। কিন্তু হতেই পারে যে, কাউন্সেলিং করেও দুশ্চিন্তা, টেনশন, স্ট্রেস কমল না। সে ক্ষেত্রে আইবিএসের ধরন বুঝে মেডিসিনের চিকিৎসকেরা ওষুধ দেন। ডি টাইপের ক্ষেত্রে অ্যান্টি স্প্যাজ়মোটিক ওষুধ দেওয়া হয়। এতে মুভমেন্ট কম হয়। পেটে ব্যথাও কমে। আবার ঘনঘন মুভমেন্টও রোধ করা যায়।
অন্য দিকে সি টাইপের ক্ষেত্রে উল্টো ওষুধ দিতে হয়, যাতে ব্যক্তিটি রোজ মলত্যাগ করেন। এতে গ্যাস জমে থাকে না, অস্বস্তি দূর হয়। মিক্সড ভ্যারাইটির ক্ষেত্রে দু’ধরনের ওষুধই চলে।

ডা. প্রকাশ বলছেন, ‘‘অ্যাটাকের সময়ে সহজপাচ্য এবং হালকা খাবার খাওয়া দরকার। ডাল, দুধ, গম একেবারেই বাদ। ভেজিটেবিল সুপ, ভাত, তেল-মশলাহীন খাবার খেলে ভাল। পাশাপাশি নেশার দ্রব্যও ত্যাগ করতে হবে।’’ আবার যে খাবার খেলে সমস্যা বাড়ে, সেগুলি চিহ্নিত করে তা-ও বাদ দিতে হবে। কনস্টিপেশনের সমস্যা থাকলে খেতে হবে ফাইবারযুক্ত খাবার।
ডায়েট ছাড়াও জীবনযাপনের ধারায় পরিবর্তন আনা দরকার। ব্যায়াম, প্রাণায়াম, হাঁটাহাঁটি ও রোজ ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন।
ওষুধ বা কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে আইবিএসের সমস্যা মেটানোর উপায় সাময়িক। এই সমস্যাকে একেবারে নির্মূল করতে সার্বিক ভাবে বদল আনা দরকার জীবনযাপনে।
শারীরিক পরিবর্তনের পাশাপাশি মানসিক ভাবে ভাল থাকার ইচ্ছেটাও বড্ড জরুরি। (শেষ)
[সূত্র : ম্যানস হেলথ]

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট