চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

হাতের একজিমার সঙ্গে যে খাবারের সম্পর্ক

অনলাইন ডেস্ক

২৭ জানুয়ারি, ২০২৪ | ৮:২৩ অপরাহ্ণ

একজিমা শরীরের যেকোনো জায়গায়ই হতে পারে। খুব সাধারণ একটি একজিমা হলো ‘হাউসওয়াইফস একজিমা’। এটি বহুলভাবে দেখা যায়। নারীদের হাতে এটি বেশি দেখা যায় বলে এ রকম নামকরণ হলেও কিছু ক্ষেত্রে পুরুষের হাতেও হয়।

 

কারণ: এই একজিমা হওয়ার পেছনে প্রধান কারণ বংশগত প্রবণতা। তবে দেখা গেছে সাবান, ডিটারজেন্ট ব্যবহার করলে এটি শত চিকিৎসায়ও আরোগ্য হয় না; বারবার ফিরে আসে বা ধীরে ধীরে বেড়েই যায়। চিকিৎসকের নির্দেশ মেনে রোগী যখন এগুলো ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ রাখেন, তখনো এটা অনেক সময়ই উপযুক্ত চিকিৎসার পরও বাড়ে। তখন রোগী বলে থাকেন বেগুন, চিংড়ি, ইলিশ, বোয়াল মাছ ইত্যাদি কথিত অ্যালার্জিক খাবার খেলেই নাকি এটি বেড়ে যায়।

 

আসলে একজিমা রোগটি যখন হাতে দেখা দেবে, শুধু তখনই কিছু খাবার হাত দিয়ে ধরা যাবে না। সেটি খাওয়ার জন্যই হোক বা কোটা, বাছা, ধোয়া বা রান্নার জন্যই হোক। কথাটি অন্য অনেক খাবারদাবার, যেমন—বেগুন, গরুর মাংস, ইলিশ, চিংড়ি ইত্যাদির ক্ষেত্রেও একইভাবে প্রযোজ্য। অর্থাৎ হাতে একজিমা হলে রোগী হাত দিয়ে ধরতে পারবেন না অনেক কিছুই।

 

খাবারগুলোর মধ্যে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা হাতের ত্বকের (বিশেষ করে আঙুলের) কোষকলাকে উদ্দীপিত বা উত্তেজিত করে তোলে, যাতে সেখানে এমন কিছু পরিবর্তন ঘটে, যার ফলে ত্বকে পর্যায়ক্রমে লাল হওয়া, চুলকানি, ছোট গোটা তৈরি হওয়ার মতো ঘটনাগুলো ঘটতে থাকে এবং রোগটি অবশেষে তার পরিপূর্ণ বৈশিষ্ট্য নিয়ে হাজির হয়।

 

করণীয়: চামচের সাহায্যে খেতে হবে। এ ছাড়া বাসন-পেয়ালা ধোয়ামাজা ছাড়াও হাতের বেশির ভাগ কাজ থেকেই বিরত থাকতে হবে; যেমন—সবজি কাটা, বিশেষ করে আদা, রসুন, পেঁয়াজ ইত্যাদি হাত দিয়ে ধরলেই তাঁর হাতের একজিমা বেড়ে যায়। অতএব ধোয়া, কাটা, বাছা বা হাত দিয়ে নাড়াচাড়া করা তাঁর জন্য বারণ। এ ছাড়া তেল-মসলা হাত দিয়ে মাখানোতেও রোগটির নিশ্চিত বৃদ্ধি ঘটে। এমনকি রান্না করার পর ঝাল-তেল-মসলাসমৃদ্ধ খাবার হাত দিয়ে মেখে খেলেও রোগটি বেড়ে যায়। যে খাবারগুলো অ্যালার্জিক বলে চিহ্নিত সেগুলো খাওয়ায় কিন্তু একজিমা বাড়ে না, বাড়ে আক্রান্ত হাতের সঙ্গে ওই সব খাদ্যদ্রব্যের সরাসরি সংস্পর্শ ঘটার জন্য। রোগী যদি হাতের সংস্পর্শ এড়িয়ে এ খাবারগুলো খান, তাহলে কখনোই এ খাবারগুলোর জন্য রোগটি বাড়বে না। রোগ পুরোপুরি সেরে যাওয়ার পরও এই বাছবিচারগুলো সব সময়কার জন্য বহাল থাকবে।

 

পরামর্শ দিয়েছেন: ডা. যাকিয়া মাহফুজা যাকারিয়া, সিনিয়র কনসালট্যান্ট, ডার্মাটোলজি, উত্তরা স্কিন কেয়ার অ্যান্ড লেজার, সাবেক কনসালট্যান্ট ডার্মাটোলজিস্ট, ঢাকা শিশু হাসপাতাল।

 

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট