চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪

দেশে মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক

অনলাইন ডেস্ক

২৩ আগস্ট, ২০২৩ | ১১:২১ অপরাহ্ণ

বর্তমানে স্ট্রোকজনিত মৃত্যু শুধু জাতীয় সমস্যা নয়; বিশ্বজনীন সমস্যা। স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। মস্তিষ্কের রক্ত সরবরাহের বিঘ্নতার ফলে কোষের মৃত্যুজনিত কারণে স্ট্রোক হয়। ফলে মস্তিষ্কের কিছু অংশ্য ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না।

হঠাৎ করে কারও যদি শরীরের কোনো অঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দেয় তাকে স্ট্রোক বলে। এটা এমন হতে পারে হঠাৎ কারও কথা বলা বন্ধ হয়ে গেল বা তার মুখটা বেঁকে গেল। অথবা হঠাৎ করে মুখ ডান-বাম করতে পারছে না কিংবা তার শরীরের একটা অংশ কাজ করছে না। এরকম হলে আমরা তাকে স্ট্রোক হয়েছে বলে মনে করি। তবে এটা হঠাৎ করে হতে হবে। বিশেষজ্ঞগণ বলেন, এ রোগটা সম্পর্কে সকলের জানা উচিত। এ রকম কারও দেখা দিলে, খুব তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ, দ্রুত চিকিৎসকের কাছে গেলে সঠিক সময়ে এর চিকিৎসাটা করা সম্ভব।

স্ট্রোক প্রধানত দু’ধরনের হয়ে থাকে।

এক. রক্তনালি ব্লক হয়ে গিয়ে রক্ত না যাওয়া এবং ওই অংশের শুকিয়ে যাওয়া। একে বলে ইস্কেমিক স্ট্রোক।

দুই. রক্তনালি ছিঁড়ে গিয়ে রক্তক্ষরণ। একে বলে হেমোরেজিক স্ট্রোক। সাধারণত: স্ট্রোক বৃদ্ধ বয়সের অসুখ। তবে স্ট্রোক তরুণদের হবে না, সেটি নয়। বয়স্ক লোকদের বেশি হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্ট্রোক হয়, যখন মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয় বা বন্ধ হয়ে যায় এবং এর ফলে মস্তিষ্ক কাজ বন্ধ করে দেয়।

ইস্কেমিক স্ট্রোকের কারণ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞগণ বলেন, ইস্কেমিক স্ট্রোকের মূল কারণ হলো উচ্চ রক্তচাপ। এই কারণের জন্যই রক্তক্ষরণ হয়। উচ্চ রক্তচাপের কারণে ইস্কেমিক স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এছাড়া আরও অনেক কারণে ইস্কেমিক স্ট্রোক হতে পারে। যেমন- ডায়াবেটিস থাকলে, মাদক সেবন করলে, যাদের ঘুমের মধ্যে শ্বাসকষ্ট হয় বা কারও হার্টে যদি কোনো সমস্যা থাকে। -সূত্র: ডক্টর টিভি

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট