চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

হৃদরোগীরা কি গরু-মহিষের মাংস খেতে পারবেন না?

অনলাইন ডেস্ক

৬ নভেম্বর, ২০২২ | ৭:৩৩ অপরাহ্ণ

মূলত জীবন যাপনে অনিয়ম এবং খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তনজনিত কারণে হৃদরোগের প্রকোপ বাড়ছে।আবার অনেকে বংশানুক্রমে এই রোগে আক্রান্ত হন। কিছু খাবার আছে হৃদরোগীদের জন্য উপকারী। আবার কিছু খাবার আছে যা পরিহার করতে হবে। হৃদরোগীদের খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন মেডিসিন ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ।

 

কী কী খাবার কম খেতে হবে: অধিক তৈলাক্ত বা চর্বিযুক্ত খাবার, অধিক কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার যাতে ক্যালরি বেশি থাকে যা ওজন বাড়ায় তা বর্জন করতে হবে।

কী কী খাবার বেশি খেতে হবে: যেসব খাবার কম ক্যালরিযুক্ত যেমন তাজা ও রঙিন শাকসবজি, ফলমূল, সালাদ, বিভিন্ন ধরনের মাছ বিশেষত সামুদ্রিক মাছ ও মাছের তেল, প্রোটিন বা আমিষ জাতীয় খাবার, উদ্ভিদজাত ননট্রপিক্যাল তেল বেশি বেশি খেতে হবে।

গরু, খাশি বা মহিষের গোশত একদম নিষেধ নয়: গরু, খাশি বা মহিষের গোশত একদম নিষেধ নয়, তবে বেশি পরিমাণ খাওয়া যাবে না, মাঝে মাঝে অল্প পরিমাণ খাওয়া যাবে। যারা গরু, খাশি বা মহিষের গোশত একদম খান না, তাদের কি হার্টের করোনারি রক্তনালিতে ব্লক হয় না। হ্যাঁ, যারা গরু, খাশি বা মহিষের একদম গোশত খান না, তাদেরও হার্টের করোনারি রক্তনালিতে ব্লক হতে পারে বা হয়।

 

গরু, ছাগল বা মহিষ তো ঘাস বা লতাপাতা খায়, কখনোই তৈলাক্ত খাবার খায় না কিন্তু মাংসে বা পেটের ভেতরে এত চর্বি কীভাবে হয়? তা হলে কি তৈলাক্ত বা চর্বি জাতীয় খাবার একদম না খেলেও রক্তে শরীরে চর্বি হতে পারে? বাঘ বা সিংহ বা অন্যান্য মাংসাশী প্রাণী তো মাংস ছাড়া অন্য কিছু খায় না, এমনকি চর্বিসহ একেবারে অনেক পরিমাণে মাংস খায় তাদের তো শরীরে কোনো মেদ নেই, বরং দেখতে অনেক স্লিম আবার তৃণভোজী প্রাণী যেমন গরু, মহিষ, হাতি যারা ঘাস, লতাপাতা বা কলাগাছ খায় তারা অনেক ওজন বেশি ও মোটা তাহলে কি মাংস খেলে ওজন বাড়ে না বরং কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা জাতীয় খাবার খেলে ওজন বা শরীর ভারি হয়? হ্যাঁ, প্রোটিন জাতীয় খাবারে ওজন বাড়ে না বরং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে আর শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি খেলে ওজন বাড়ে ও শরীর মোটা হয়। আর মাংসাশী প্রাণী একবারে অনেক মাংস খেলেও তারা পরিশ্রমী ও কম চর্বি যুক্ত মাংসে ক্যালরি কম, তা ওজন বাড়ায় না।

 

এমনটা হতে পারে যদি কেউ অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার যেমন কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি খান বা অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার খান ও কায়িক বা শারীরিক পরিশ্রম না করে বা পর্যাপ্ত পরিমাণে না করে তবে এ অতিরিক্ত ক্যালরি চর্বি আকারে শরীরে জমা হবে, শরীরের ওজন বাড়বে ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়বে, ফলে হৃদরোগ ও হৃদযন্ত্রের করোনারি ধমনিতে ব্লক হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট