সকাল আর রাতে নিয়ম করে দাঁত মাজছেন। এটুকু নিশ্চয়তা পাওয়া গেলো আপনার দাঁত সুস্থ থাকবে। কিন্তু একবারো কি ভেবে দেখেছেন আপনার টুথব্রাশটি থেকে দেহে অন্যান্য রোগ ছড়াতে পারে? অথবা আপনার টুথব্রাশটি সত্যিই আপনার স্বাস্থ্যের জন্যে ভালো কিনা? হয়তো সবকিছু একেবারে ভাবা সম্ভব না।

জেনে নিন আপনার টুথব্রাশের প্রতি কিভাবে লক্ষ্য রাখবেন:

১) আপনার টুথব্রাশে প্রচুর মাইক্রোঅর্গানিজমের বাস। বিশেষত আপনার মুখের ভেতরেই ব্রাশ করার সময়ে সেগুলো থাকতে পারে। ব্রাশ করার পর এই জীবাণুগুলো আপনার ব্রাশে স্থানান্তরিত হয়। বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু না শুরুতে। তবে ব্রাশ এক বা দুই মাস পুরাতন হলেই বদলে ফেলা ভালো।

২) দাঁত মাজার সময় বিশেষত ইলেকট্রিক টুথব্রাশ ব্যবহারের সময় জীবাণু আপনার মাড়িতে প্রবেশ করতে পারে। অন্য কেউ যদি আপনার ব্রাশ ব্যবহার করে তখন ক্ষতি হতে পারে।

৩) অধিকাংশ টয়লেটে সিংক কিংবা বেসিনের পাশে টয়লেট ফ্লাশ অবস্থান করে। আপনার ব্রাশ যেন সেদিকে না রাখা হয় খেয়াল রাখবেন। যখনই আপনি ফ্লাশ করবেন তখনই বাতাসে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া মুক্ত হয়। আর ব্রাশে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করা মোটেও ভালো কিছু নয়। অনেকেই টুথব্রাশ হোল্ডার ব্যবহার করে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা জানান, টুথব্রাশের হোল্ডার থেকেও জীবাণু ছড়াতে পারে।

৪)  ব্রাশে ক্ষতিকর জীবাণু প্রবেশ করতে পারে। এমনকি টুথব্রাশে ক্যাপ ব্যবহার না করার পরামর্শ রইলো।

৫) দাঁত মাজার পর টুথব্রাশ ভালোভাবে শুকিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করুন। দাঁত মেজেই টুথব্রাশ কোনায় রেখে দিবেন না। এমনকি টুথব্রাশ সোজা করে রাখার চেষ্টা করুন। অনেকেই টুথব্রাশ পাশ ফিরিয়ে শুইয়ে রাখেন। এটি মোটেও ভালো কিছু না।

৬) পাশাপাশি একাধিক টুথব্রাশ রাখবেন না। কারণ এক টুথব্রাশ থেকে আরেকটিতে জীবাণু প্রবেশ করতে পারে।

৭)  দাঁত মাজার পর টুথব্রাশ এন্টি-ব্যাকটেরিয়ালে ডুবিয়ে রাখলে কিছু ব্যাকটেরিয়া দূর করা সম্ভব।

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ