চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা অনেকেই জানেন না ‘ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি’ বা ‘ডায়াবেটিক ফুট’ সম্পর্কে।

‘ডায়াবেটিক ফুট’ সম্পর্কে জানুন; নাহলে কাটা পড়তে পারে পা!

(গত সংখ্যার পর)

১২ মার্চ, ২০২০ | ১:৫৮ পূর্বাহ্ণ

কী করবেন, কী করবেন না
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষ কখনও বাড়িতেও খালি পায়ে হাঁটবেন না। আরামদায়ক চটি পড়ুন। বাথরুমের চটি, ঘরের চটি সাধারণত আলাদাই থাকে। সেই নিয়ম মেনে চলুন। বাইরে বেরলে মোজা ছাড়া জুতা পরবেন না। সেলাই না করা মোজা পরলে বেশি ভালো, কারণ এতে সেলাইয়ের খাঁজে ময়লা জমে থাকার আশঙ্কা থাকে না। পায়ের নখ একটু বাড়লেই তা কেটে ফেলতে হবে। ত্বকে সহ্য হয় এমন নেলপালিশ ব্যবহার করুন। নখের কোণা চামড়ার মধ্যে ঢুকে গেলে নিজে কিছু না করে বা পার্লারে না গিয়ে বরং পোডিয়াট্রিস্টের পরামর্শ নিন। পেডিকিওর করার বিষয়েও খুব সাবধান থাকতে হবে ডায়াবেটিক রোগীকে।
পায়ে ঘা হলে কী করণীয়
প্রথমেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। একান্তই তা সম্ভব না হলে আক্রান্ত স্থান স্যালাইন জলে ধুয়ে স্টেরিলাইজড গজ ও প্রয়োজনীয় ওষুধ বা মলম লাগিয়ে জায়গাটা ঢেকে দিন। ঘা না শুকোনো অবধি মোজা পরবেন না। বাইরেও বেশি বেরনোর দরকার নেই। বেরলেও আরামদায়ক পা ঢাকা জুতা পরুন যাতে বাইরের ধুলো-বালি সরাসরি লাগতে না পারে। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ মতো অ্যান্টিবায়োটিক খান। কোনও কোনও সময় রোগীর প্রয়োজন বুঝে ডায়াবেটিক জুতা কেনার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। নজর রাখুন পা ফুলে যাচ্ছে কি না বা নখের চার পাশের রং বদলে যাচ্ছে কি না। বছরে একবার পোডিয়াট্রিস্টের কাছে পায়ের চেক আপ করাতে যান।
পেডিকিওরের বিপদ
পার্লারে কখন কেমন যন্ত্রপাতি দিয়ে পরিচর্যা করা হয় তা আপনার পক্ষে জানা সম্ভব নয়। পার্লারের কর্মীরও ডায়াবেটিক আক্রান্ত পায়ের যতœ নেওয়ার ঠিক নিয়ম জানা আছে কি না বা প্রয়োজনীয় ট্রেনিং আছে কি না তার ঠিক তথ্য জানা সম্ভব নয়। তাই সবচেয়ে ভালো হয় পেডিকিওর এড়িয়ে যেতে পারলে। পেডিকিওরের সময় গরম জলে পা ডোবানো বা ঝামা দিয়ে ঘষার সময় সচেতন না হলে কেটে–ছড়ে গিয়ে বিপদ ঘটতে পারে। কড়া বা মৃত চামড়া কাটার সময় কাঁচি ঠিকমতো জীবাণুমুক্ত কি না সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। পুরো নখ সমান ভাবে কাটুন। তা না করে সরু কাঁচি ঢুকিয়ে নখের কোনা কেটে রুপটান দিতে গেলে কিন্তু সংক্রমণ হতে পারে।
ডায়াবেটিক জুতা
এর ভিতরের দিকের সোল সাধারণ জুতার চেয়ে ৮-১০ মিলিমিটার বেশি মোটা হয়। তাই পায়ের তলার মাধ্যমে সারা শরীরের চাপটাই ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ পায়। এতে প্রেশার পয়েন্টে ঘায়ের সুযোগ কমে যায়। জুতা কেনার সময় পায়ের আঙুলগুলো জড়ো করে রাখতে হয় এমন পাঞ্জার জুতা কিনবেন না। এতে ঘাম জমে গা হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে। জুতার হিল কাউন্টার যেন শক্ত ও উঁচু হয়। এমন জুতা কিনুন যা পায়ে ড্রেসিং করেও পরতে অসুবিধা না হয়। পা ফুলে গেলে জুতা ঢিলে করা যায় এমন পদ্ধতির জুতা কিনতে পারলে ভালো। (শেষ)

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট