চট্টগ্রাম শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪

চার কারণে বাড়ছে বিদেশি বিনিয়োগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ মে, ২০২৩ | ১২:১২ অপরাহ্ণ

পুঁজিবাজারে ফের সক্রিয় হচ্ছে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধসহ নানা ইস্যুতে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা বিনিয়োগকারীরা ফের সক্রিয় হওয়ায় গত এপ্রিল মাসে কিছুটা ইতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই সূত্র জানায়, গত এপ্রিল মাসে পুঁজিবাজারে লেনদেন হওয়া মোট ১৮ কর্মদিবসের মধ্যে ১২ কর্মদিবস উত্থান আর ৬ কর্মদিবস বাজারে পতন হয়। ওই মাসে ১৮ লাখ ৭০ হাজার বিওধারী (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) বিনিয়োগকারী শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড এবং বন্ড কেনা-বেচা করেছেন ১০ হাজার ২৯৬ কোটি ২৯ লাখ ৭৮ হাজার ৩৫৪ টাকার। বিএসইসির তথ্যমতে, ১০ হাজার ২৯৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকার মধ্যে দেশি বিনিয়োগকারীরা ১০ হাজার ১১৪ কোটি ৮ লাখ ৪৬ হাজার ৮৪৪ টাকার এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ১৮২ কোটি ২১ লাখ ৩১ হাজার ৫১০ টাকার শেয়ার কেনা-বেচা করেছেন।

শেয়ার সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সিডিবিএলের তথ্যমতে, এপ্রিল মাসের শুরুতে দেশের পুঁজিবাজারে বিদেশি বিওধারীর সংখ্যা ছিল ৬৩ হাজার ৮। এই বিনিয়োগকারীরা ১৩১ কোটি ৪২ লাখ ২৭ হাজার ২৪০ টাকার শেয়ার কিনেছেন। তার বিপরীতে শেয়ার বিক্রি করেছেন ৫০ কোটি ৭৯ লাখ ৪ হাজার ২৭১ টাকার। অর্থাৎ নিট বিনিয়োগ পজেটিভ। এরমধ্যে এক ব্যক্তি এবং দুই প্রতিষ্ঠানের বিও হিসাব থেকে গত ২৭ এপ্রিল ইসলামী ব্যাংক, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ এবং বিডিকমে শেয়ার কেনা হয়েছে ১১৪ কোটি ৩১ লাখ ৪৩ হাজার ৯৮৬ টাকার। আর বাকি ১৭ কর্মদিবসে কেনা হয়েছে মাত্র ১৭ কোটি টাকার শেয়ার। তিন বিনিয়োগকারীর মধ্যে বিটিএ ওয়েলথ এমজিটি লি. নামে বিনিয়োগকারী ইসলামী ব্যাংকের ৩ কোটি ৪২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪৪ টি শেয়ার কিনেছেন ১১১ কোটি ৫৯ লাখ ৫৮ হাজার ১১৪ টাকা দিয়ে। অর্থাৎ তিনি নতুন করে এ বিনিয়োগ করেছেন। একইদিনে নরওয়ের একজন বিনিয়োগকারী অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের ১ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার কিনেছেন ২ কোটি ৬১ লাখ ৪৪ হাজার ৪৭২ টাকা দিয়ে।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষকদের অভিমত, চার কারণে বিদেশিদের বিনিয়োগ বাড়ছে। কারণসমূহ হল টাকার অবমূল্যায়নের পর ডলারে বাজারে অস্থিরতা কমেছে। এখন ডলারের বাজার অনেকটাই স্থিতিশীল। দ্বিতীয়ত, বাজারে শেয়ারের দাম কম। এখন বিনিয়োগ করলেই মুনাফা হবে। তৃতীয়ত, টাকার মান কমায় ডলারের বিপরীতে বেশি শেয়ার কিনতে পারছেন বিনিয়োগকারীরা। ডলারের তুলনায় টাকার মান কমাটা, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণীয়। এ কারণে তারা বিনিয়োগ করছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বিভিন্ন দেশের রোড-শো এবং ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ ও পুঁজিবাজারে ভালো দিকগুলো তুলে ধরায় প্রবাসী ও বিদেশিদের বাংলাদেশমুখী হওয়ার প্রবণতা বেড়েছে।

পূর্বকোণ/এ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট