চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪

২০১০-২০১৯ তথ্য-প্রযুক্তির উৎকর্ষতার দশক

মুহাম্মদ মুসা খান

৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ২:৫৫ পূর্বাহ্ণ

মানবজাতির ইতিহাসে আরেকটি ঘটনাবহুল দশক (২০১০-২০১৯) বিদায় নিচ্ছে আজ। সে সাথে আমাদের জীবনে যোগ হচ্ছে আরও একটি দশক (২০২০-২০২৯)। বিদায়ী দশকে সমগ্র পৃথিবীতে যেমন পরিবর্তন এসেছে, তেমনি পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশেও। সদ্যবিগত দশক ছিলো প্রধানত ‘তথ্য-প্রযুক্তির উৎকর্ষতার দশক’। এই দশকে মানবজাতির ইতিহাসে বিস্ময়কর পরিবর্তন এনেছে ‘ইন্টারনেট’ নামক আধুনিক প্রযুক্তি। এই দশকে গুগল (এড়ড়মষব) সার্চ ইঞ্জিন মানুষের জ্ঞানের পরিধিকে ব্যাপক প্রসারিত করেছে। ১৯৯৮ সনে গুগল প্রতিষ্ঠিত হলেও মূলতঃ ২০১৫ সনে প্রকৌশলী ঝঁহফধৎ চরপযধর (সানডার পিচাই) সিইও হিসেবে গুগল-এ যোগ দেয়ার পর বিস্ময়করভাবে বিকশিত হয়। তথ্য-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি শুরু হয় মূলত ২০১৭ সনে ২য় সাবমেরিন ক্যাবলের সাথে যুক্ত হওয়ার পর হতে। তৎকালীন বিএনপি সরকারের অদূরদর্শিতার কারণে আমরা পিছিয়ে পড়েছিলাম। যা হোক, আমরা একটু ফিরে দেখি বিগত এক দশকে কখন কোথায় কি ঘটেছিল।

২০১০ : দু’ হাজার দশ-এর ২৭ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাতে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ৫ আসামীর ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়। তাঁরা হলেন মেজর (অব.) বজলুল হুদা, লে.ক. (অব.) মুহিউদ্দিন আহমেদ, লে.ক.(অব.) সৈয়দ ফারুখ রহমান, লে.ক.(অব.) রশিদ খান এবং লে.ক.(অব.) মহিউদ্দিন। এ বছর জুন মাসে মর্মান্তিক অগ্নিকা-ে ঢাকার নিমতলীতে ১১৮ জন মারা যান। ২৫ মার্চ যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুন্যাল গঠন করে সরকার। এর আওতায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, মাওলানা দেলওয়ার হোসেন সাইদি, আলী আহসান মুজাহিদ এবং বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। ২৩ মে মুসা ইব্রাহিম এভারেস্ট জয় করেন। এ বছর দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিও আলোচিত বিষয় ছিল। সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক সংবিধানের ৫ম ও ৭ম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করা হয়। উইকিলিকস-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান পল অ্যাসাঞ্জ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তথ্যযুদ্ধ শুরু করে দুনিয়া জুড়ে হৈচৈ ফেলে দেন। সোমালিয়ার জলদস্যুরা বার বার জাহাজ ছিনতাই করে একটি বাংলাদেশী জাহাজও ছিনতাই হয়।

২০১১ : এ বছর আপীল বিভাগ কর্তৃক তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সম্পর্কিত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করা হয়। তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পরিবর্তনের এই রায় গত দশকের একটি যুগান্তরকারী ঘটনা বলে অনেকে মনে করেন। ২০১১ সনের মে মাসে আলকায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যু ছিল পৃথিবীব্যাপী আলোচিত ঘটনা। পাকিস্তানের ইসলামাবাদ হতে কঠোর গোপনীয়তায় আমেরিকান সেনাবাহিনী তাঁকে আটক করে হত্যা করে। মার্চ মাসে ভয়াবহ এক ভূমিকম্পে জাপানে ১৬ হাজার লোক প্রাণ হারায়। ৪ দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা লিবিয়ার নেতা গাদ্দাফি গদিচ্যুত এবং নিহত হন। শান্তির দেশ হিসেবে পরিচিত নরওয়েতে বোমা বিস্ফোরণে ৮ জন নিহত হয়। বাংলাদেশ ও ভারতে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আসর বসে এবং ভারত ২য় বারের মত চ্যাম্পিয়ান হয়। বিতর্কিত অ্যাম্পায়ারিং-এর কারণে বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনাল হতে বাদ পড়ে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে তৃনমূল কংগ্রেসের মমতা ব্যানার্জি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।

২০১২ : এ বছর ১৭ এপ্রিল রাত দেড়টায় বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী অপহৃত হয় রাজধানীর বনানী এলাকা হতে। আজ পর্যন্ত তাঁর অপহরণের রহস্য উদ্ঘাটন হয়নি। রাজধানীর আশুলিয়ায় ‘তাজরিন ফ্যাশন’ অগ্নিকা-ে (নভেম্বর ২৪) ১১৭ জন পোশাকশ্রমিক নিহত হন। যা ইতিহাসের মর্মান্তিক ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত।
২০১৩ : সহিংস একটি বছর ছিল ২০১৩ সন। যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন রায়ের প্রতিবাদে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চকে ঘিরে লক্ষ মানুষের উপস্থিতি ছিল অভূতপূর্ব। আবার মাওলানা দেলওয়ার হোসেন সাঈদী’র রায়ের পর সহিংসতায় ৫০ জনের মৃত্যুও ছিল উল্লেখযোগ্য। ১৩ দফা দাবীতে কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক হেফাজত ইসলাম নামের সংঘটন মতিঝিল শাপলা চত্বরে জমায়েত হয়। কিন্তু রাতে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী কম রক্তপাতে তাদের শাপলাচত্ত্বর হতে বিতাড়িত করে। এ বছর আন্তর্জাতিক ট্রাইবুন্যালে বেশ কয়েকজন

যুদ্ধাপরাধির মৃত্যুদ- ও যাবজ্জীবন রায় আসে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধীদলগুলো ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’র দাবীতে আন্দোলনের উদ্যোগ নিলেও তা সফল হয়নি। সরকার সংবিধানের আলোকেই নির্বাচনে অনড় থাকে এবং সফল হয়।
২০১৪ : ২০১৪ সনের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় ‘দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন’। বিএনপিসহ অধিকাংশ বিরোধীদল নির্বাচন বর্জন করে। নির্বাচনে আওয়ামীলীগ জয়লাভ করে। নির্বাচনের দিন সহিংসতায় ১৯ জন মানুষ মারা যান। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ১৫৩ জন সাংসদ বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়। নারায়নগঞ্জে র‌্যাব-এর কয়েকজন বিপদগামী কর্মকর্তা কর্তৃক কাউন্সিলর নজরুলসহ ৭ জনকে অপহরণ ও খুনের ঘটনা দেশব্যাপী আলোড়ন তোলে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ফাঁসও ছিল আলোচিত বিষয়। প্রবাসে হজ নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জনক্ষোভের মুখে আওয়ামীলীগ নেতা ও মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রীত্ব ও দলের পদ হারাতে হয় এবং গ্রেফতার করা হয়। প্রবাসে অবস্থানরত বিএনপি নেতা তারেক রহমানের কিছু অনাকাক্সিক্ষত বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচিত হয়।
২০১৫ : এ সনের ১ জুলাই বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে নি¤œমধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে ঘোষণা করে। এরপর এ বছর তিন যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়। তাঁরা হলেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ ও মুহাম্মদ কামরুজ্জামান। জঙ্গিবাদিদের হাতে ৪ জন ব্লগার নিহত হয়। তবে বছরের শেষ দিকে ২ জন হত্যাকারীকে বিচারের পর ফাঁসি দেয়াতে স্বস্তি পেয়েছিল মানুষ। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি’র উপর ৭ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করে বসে অর্থমন্ত্রী। কিন্তু শিক্ষার্থীদের দাবি ও আন্দোলনের মুখে সেপ্টেম্বরে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়। ৬৮ বছর পর এ বছর বাংলাদেশের ৫১ ও ভারতের ১১১টি ছিটমহল বিনিময় হয় এবং ছিটমহলবাসীরা স্বাধীনতার স্বাদ পায়।

২০১৬ : এ বছর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলায় ২ পুলিশসহ ২২ দেশি-বিদেশী খুন হলে দেশবাসিসহ সমগ্র বিশ্ব স্তম্ভিত হয়ে যায় (পাল্টা হামলায় যদিও জঙ্গিরা

নিহত হয়)। পরবর্তিতে দেশব্যাপি জঙ্গি দমনে সফলতা পায় সরকার। প্রায় ৯টি অভিযানে ২৯ জন জঙ্গি নিহত হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি সুইফ কোড জালিয়াতি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ হতে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির ঘটনায় দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ফিলিপাইন ও শ্রীলংকায় এই ডলার পাচার করা হয়। তবে শ্রীলংকা হতে ২ কোটি এবং ফিলিপাইন হতে দেড় কোটি ফেরত আনা সম্ভব হয়েছিল। দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন অনুষ্ঠানের নতুন একটি সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। স্থানীয় সরকার পরিষদ নির্বাচনের সহিংসতায় দেশব্যাপি শতাধিক ব্যক্তি নিহত হয়। ২৭ নভেম্বর বছরের শেষ দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারি বিমানে ক্রুটি ধরা পড়ে। তবে অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনার পূর্বেই তা ধরা পড়ায় সবাই আল্লাহর রহমতে রক্ষা পায়।

২০১৭ : জানুয়ারি হতে নভেম্বর পর্যন্ত জঙ্গিবিরোধী ১০ অভিযানে ৩৫ জন জঙ্গি নিহত হয়। সরকারের সাথে টানাপোড়েন ও সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় সংক্রান্ত বিষয়ে সৃষ্ট জটিলতায় বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা পদত্যাগ করেন। আগস্ট মাসে মিয়ানমার হতে ৭ লাখেরও অধিক রোহিঙ্গা সেনাবাহিনীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। উদ্ভব হয় রোহিঙ্গা শরনার্থী সংকটের।
২০১৮ : ২৪ জানুয়ারি ইউনেসকো বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে ‘ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ (বিশ্বের প্রামাণ্য ঐতিহ্যের) অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের পর ২০ মার্চ জানা যায় বাংলাদেশে রোহিঙ্গার সংখ্যা ১০ লাখ ৯১ হাজার ২৩৪ জন। এপ্রিল মাসে চাকরীতে কোটা সংস্কারের দাবী ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন’ দানা বাঁধে। সরকার কোটা বাতিলের ঘোষনা দেন। অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখারও দাবি উঠে। এ বছর ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল ২০১৮ পাশ হয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল এ বছরের অন্যতম আলোচিত বিষয়। এ বছর মে মাসে শুরু হওয়া মাদকবিরোধী অভিযানে শতাধিক মাদকব্যবসায়ী ক্রসফায়ার ও এনকাউন্টারে নিহত হয়। ৫ আগষ্ঠ ইন্টারনেটে উস্কানীর অভিযোগে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলার প্রেক্ষিতে গ্রেফতার হয় আন্তর্জাতিক আলোকচিত্রি শহীদুল আলম। তাঁকে মুক্তি দেয়ার জন্য নোবেলজয়ী অমর্ত্যসেনসহ অনেকেই বিবৃতি দেন। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ব্যাপক জনসমর্থন লাভ করে। এবং ১৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন বিল-২০১৮ সংসদে পাশ হয়।
২০১৯ : নবম জাতীয় সংসদ সদস্য শপথ গ্রহণ করেন এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ৪র্থ আওয়ামী লীগ সরকার গঠিত হয়। ঢাকার চকবাজারে অগ্নিকান্ড ৭৮ জনের মৃত্যু হয়। ২৯ বছর পর ঢাকসু নির্বাচনে সাধারণ কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নূরুল হক নূর ভিপি, ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রাব্বানী জিএস নির্বাচিত হয়। ঢাকার আর এফ টাওয়ারে অগ্নিকান্ডে ২৬ জনের মৃত্যু হয়। চাঁদাবাজির অভিযোগের মুখে ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন ও সাধারণ সম্পাদক রাব্বানীকে দল হতে বাদ দেয়া হয়, যা ছিল দেশের ইতিহাসে ব্যতিক্রমী ঘটনা। আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের পুনরায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

২০১০-২০১৯ দশক ছিল বিশ্বব্যাপী ব্যতিক্রমী একটি দশক। এই দশকে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। উন্নতি হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা, অর্থনীতি ও তথ্য-প্রযুক্তি সেক্টর। সাক্ষরতার হার বেড়েছে, দরিদ্রতা কমেছে, শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নতি এসেছে এবং জঙ্গিবাদ রোধ করা সম্ভব হয়েছে। এই দশকে সড়কদুর্ঘটনায় প্রায় ৬০ হাজারের মত মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে এবং প্রায় লক্ষাধিক মানুষ আহত হয়েছে। এই দশকে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছেন এবং দল ও সরকারকে সফলতার সাথে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

এই দশকে আমেরিকাতে উত্থান ঘটে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মত ধনকুবের সরকারপ্রধানের। নব্বই বছর পেরিয়েও মালেশিয়ার রাষ্ট্রক্ষমতায় ফিরে আসেন ড. মাহাথির মোহাম্মদ। ভারতে ২য় বার সরকার গঠন করে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট। একটি ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের দিকে ভারত এগুচ্ছে বলে পর্যবেক্ষক মহলের অভিযোগ আছে। নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলার পর সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরডার্ন এর সহানুভূতি সকলের নজর কাড়ে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন টুডো’র ২য় মেয়াদে ক্ষমতায় আসাতে অভিবাসন প্রত্যাশীরা আনন্দিত হয়। সৌদি আরবে আমেরিকান পন্থী যুবরাজ সালমানের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার কারণে সৌদি সমাজে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। ইরানের পারমাণবিক বোমার মালিক হওয়াও অন্যতম একটি বিষয় ছিল। মধ্যপ্রাচ্যে ইয়েমেন যুদ্ধ, আইএস-এর উত্থান ও পতন, শ্রীলংকায় জঙ্গী হামলা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন হতে বৃটেনের বেরিয়ে আসা ইত্যাদি বিশ্বব্যাপী আলোচিত ঘটনা ছিল বিদায়ী দশকে।

মুহাম্মদ মুসা খান কলামিস্ট, সমাজকর্মী।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট